পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে যেকোন উৎসবে পার্বত্যাঞ্চলে সকল সম্প্রদায়ের মিলন মেলা পরিণত হয়–নিখিল কুমার চাকমা

রুপান্তর বাংলা নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলার ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী রক্ষা কালীবাড়ি মন্দিরের পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে তিনি সপ্তমীর দিনে মন্দির পরিদর্শন করেন এবং মন্দিরের যাবতীয় খোঁজ খবর নেন। এসময় বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলার সভাপতি স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, শ্রী শ্রী রক্ষা কালীবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পংকজ দে টিটু, শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মন্দিরের পুরোহিত রণধীর চক্রবর্তী, রাঙ্গামাটি পৌরসভার কাউন্সিলর পুলক দেসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে নিখিল কুমার চাকমা বলেন, যেকোন উৎসবে পার্বত্যাঞ্চলে সকল সম্প্রদায়ের মিলন মেলা পরিণত হয়। শান্তি এবং সম্প্রতি বজায় থেকে যেন শারদীয় দুর্গোৎসব পালন হয় সেই প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাদনমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর সনাতন সম্প্রদায়সহ সকল ধর্মের মানুষরা কোনও দুশ্চিন্তা ছাড়া নির্বিঘ্নে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী ধর্মীয় দুর্গোৎসব পালন করছেন। যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনন্য দৃষ্টান্ত। আর দুর্গোৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মাঝে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও সুসংহত করবে। কোন অশুভ শক্তি যেন এই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যকে ধ্বংস করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মণ্ডপে মণ্ডপে চন্ডীপাঠ, ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ ও উলুধ্বনির মাধ্যমে শুক্রবার মহাষষ্ঠীতে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিয়েছেন ভক্তরা। ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে এ দিন সূচনা ঘটেছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবের। আজ শনিবার মহাসপ্তমী। এদিন সকালে দেবী দুর্গার চক্ষুদান, নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা হবে। এভাবে উৎসব চলবে আগামী মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত।