সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ভোট চাইলেন লাঙ্গলে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি–ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া আসনে লাঙ্গলের ভোট চাইলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকারি আরকে হাই স্কুলের খেলার মাঠে লাঙ্গলের জনসভায় তিনি লাঙ্গলের ভোট চান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, লাঙ্গলই নৌকা আর নৌকাই লাঙ্গল। তিনি দেশের উন্নয়ন স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিনি লাঙ্গলে ভোট দেওয়ার আহবান জানান। এ সময় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দের কড়া সমালোচনা করেন।
জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের নির্বাচনী বিশাল জনসভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি’র সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ কদ্দুছ, জাতীয় পাটির মনোনিত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরব আলী, জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুবুল আলম মনি, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুলতান উদ্দিন খান প্রমূখ।
ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপিকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দকে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় এ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তিকে। তার পক্ষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ সভাপতি কৃষিবিদ নজরুল ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ।
দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দের মধ্যে। পক্ষে বিপক্ষে সমর্থন দেওয়া নিয়ে আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠছে তাদের বিরোধ। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রচারণায় রয়েছেন। আর অন্যদিকে সাবেক আওয়ামী লীগের নেতারা রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষিবিদ নজরুল ইসলামের পক্ষে। এছাড়া আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদও নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন।
এই আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনের লড়াইয়ে রয়েছেন। প্রতিটি প্রার্থীর প্রচারণায় জমজমাট হয়ে উঠেছে মুক্তাগাছা।