ঢাকা ১৯ আসনে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের চ্যালেঞ্জ 

 (সাভার সংবাদদাতা ) সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাভার আশুলিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) হিসাবে সাইফুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। আশুলিয়া থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ থেকে সদ্য ইস্তফা দিয়ে সাংসদ নির্বাচনে তাঁর নির্বাচনী ইসতেহারের এক নাম্বারে ছিল।
সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ গড়া। ইতিপূর্বে চেয়ারম্যান হিসাবে ইউনিয়নের এবং আওয়ামীলীগের দলীয় সেক্রটারী হিসাবে আশুলিয়ার নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও পুরো সাভার আশুলিয়ার সকল স্তরের মানুষের মন জয় করতে হলে তাঁর দেয়া ইসতেহারের এক নম্বরে থাকা মাদক নিয়ন্ত্রন হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ সাভার আশুলিয়ার শহর থেকে গ্রামের টিনেজার শ্রেনীর একটা বড় অংশ মাদক বিক্রি ও মাদক গ্রহণের সাথে জড়িত। এমনকি বিভিন্ন অঞ্চলে সাইফুল ইসলামের নির্বাচনে অংশ নেয়া অনেক ভোটার ও কর্মী রয়েছে যাদের রয়েছে  মাদকের সাথে সংশ্লীষ্ঠতা। সুতরাং এমন স্পর্শকাতর বিষয়টি নবনির্বাচিত সাংসদ সাইফুল ইসলাম কিভাবে সমাধান করেন সেটাই এখন দেখার প্রতিক্ষায় আছে সাধারণ জনগণ।
অপর দিকে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচিত সাইফুল ইসলামের ডান বাম হাত খ্যাত হারুন মেম্বার, ইউনূস খাঁনের মত অনেক নেতাই ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মুরাদ জং এর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিতর্কিত হয়েছে। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে খোলস পাল্টিয়ে ট্রাক মার্কার বিরোধিতাকারীদের সকল খবর সাইফুল ইসলাম অবগত হলেও তাদের নিয়ে তিনি কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায়।
সাভার আশুলিয়ার অনেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেম্বারগণ নির্বাচনে নির্বাচিত সাংসদ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ট্রাক মার্কার সমর্থনে কাজ করে নাই। এদের নিয়ে নির্বাচিত সাংসদ সাইফুল ইসলাম কিভাবে কাজ করেন সে বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে সাভার আশুলিয়াবাসীর।
৮ জানুয়ারী ২০২৪ রোজ সোমবার নির্বাচন পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে জনাব মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মাদক ব্যাবসায়ী ও সন্ত্রাসী ও সকল প্রকার অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন যে, “আমি আগেই বলেছি, কোন সন্ত্রাসীর ভোট আমার প্রয়োজন নেই.! কোন প্রার্থী এমন ঘোষনা দেওয়া দ্বিতীয় জন পাবেন কি না আমার সন্দেহ আছে”।