ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ১৭ ফেব্রয়ারি: বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের জনবল নিয়োগে অনিয়ম চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ময়নসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রশাসন ও তার অনুসারি সিনিয়র সান্টিফিক অফিসারের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে জনবল নিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে।
জানাযায়, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ১৩ ক্যাটাগরিতে ৪৭টি পদে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৬হাজারের অধিক প্রার্থী আবেদন করে এবং লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। লিখিত পরীক্ষায় প্রতি পদের বিপরীতে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ৫জন করে মৌখিক পরীক্ষার জন্য রাখা হয়। এদের মধ্যে থেকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হবে। সে মোতাবেক ১৮ ও ১৯ ফেব্রæয়ারি ২দিনে মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরিচালক প্রশাসন নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও তার অনুসারী সিনিয়র সান্টিফিক অফিসার হারুন অর রশিদ এর মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের অগোচরে টাকার বিনিময়ে লোকবল নিয়োগের কাজটি অতিগোপনে করে যাচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে লোক নিয়োগের বিষয়টি পরিচালক প্রশাসন ড. আজাদ ও তার অনুসারী হারুন অর রশিদের কথোপকথনটি প্রকাশ হয়ে পরে। কথোপকথনে মন্ত্রী ও এমপিকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যকরে উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রণালয় ম্যানেজ করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করবে বলে কথোপকথনে উঠে আসে। নিয়োগের অন্যান্য সদস্যদের শুধু প্রলোভনের মাধ্যমে ম্যানেজ করার পরামর্শ দেন তার অনুসারী হারুন অর রশিদকে। এ বিষয়ে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ড. আজাদের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এব্যাপারে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহা পরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আইনের উর্ধ্বে কেও নয়। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে সে যত বড় অফিসারই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। যদি এ ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আমরা বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করাসহ আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।