খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি জেলায় সপ্তাহব্যাপী অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে “বই পাঠ” উৎসবের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সপ্তাহব্যাপী খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার) মহোদয় খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ লাইন্স হাই স্কুল, সরকারি মহিলা কলেজ, নতুন কুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাই স্কুল -এ গিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে নির্ধারিত দুটি বই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ’’কারাগারের রোজনামচা” এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার লেখা ’’আমাদের ছোট রাসেল সোনা” নামক বইগুলো পাঠ করার জন্য প্রদান করেন। পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনায় উক্ত বই পাঠ উৎসব গুইমারা কলেজিয়েট স্কুলেও অনুষ্ঠিত হয়।বই পাঠ শেষে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠ্য বিষয় থেকে ১০টি করে প্রশ্ন লিখতে বলেন। পুলিশ সুপার মহোদয় শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত প্রশ্নসমূহ থেকে গুরুত্বের বিবেচনায় সবচেয়ে সৃজনশীল প্রশ্নকারী বাইশ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কৃত করেন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২.০০ টায় খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স হাই স্কুল মাঠে পুলিশ সুপারের উদ্যেগে “বই পাঠ” উৎসবের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার) মহোদয়ের এর সভাপতিত্বে “বই পাঠ” উৎসবের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন লেডিস ক্লাবের সহ-সভানেত্রী জনাব ফারহানা চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা লেডিস ক্লাবের সভাপতি জনাব রাবেয়া চৌধুরী।
পুলিশ সুপার মহোদয় বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি আমার চোখের সামনে অনেক অনেক ভবিষ্যৎ। আর এই ভবিষ্যৎ তোমরা। আমাদের এই দেশকে বিনির্মাণে পড়ার টেবিলে শুধু পাঠ্যবই পড়লে হবে না এর বাইরে সৃজন ও মননশীল বইও পড়তে হবে, নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তোমরাই আগামী দিনে দেশকে সমৃদ্ধ করবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, পৃথিবীতে অশুভ মানুষের দখল থেকে মুক্ত করার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে বই। বই মানে আলো। বই পড়লে জ্ঞান অর্জন করা যায়। জ্ঞান অর্জন করতে পারলে সমাজ রাষ্ট্রসহ সব জায়গায় আলোকিত মানুষ হওয়া সম্ভব। বই মানুষের জীবনকে সুন্দর করে। বই মানুষকে আলোকিত করে।
মূলত শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয় “বাংলাদেশ পুলিশের” পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো খাগড়াছড়ি জেলার প্রতিটি উপজেলায় এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যেও পুরষ্কার তুলে দেন মাননীয় পুলিশ সুপার।