স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের চৈলতামারী এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গৃহবধুসহ ৪জন গুরুত্বর আহত হয়। এ বিষয়ে আদালতে মামলা হলে আদালত থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং সত্যতা পান। দীর্ঘ ১ মাস পার হয়ে গেলেও আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্থর গতি চলছে বলে নির্যাতিত ও আহত সিরাজুল গংরা জানিয়েছেন।
সূত্র মতে, চৈলতামারী ইউনিয়নের চরপুলিয়ামারী গ্রামের মৃত আফছার উদ্দিনের দুই পুত্র সিরাজুল ইসলাম ও আজিজুল হক ও তিন কন্যা যথাক্রমে আছিয়া, আম্বিয়া ও বিলকিছ। আছিয়ার স্বামী মারা যাওয়ার পর পিত্রায়লে এসে ভাইদের আশ্রয়ে থেকে ছেলে মেয়ে নিয়ে এখানেই বসবাস করে আসছিল। আছিয়া তার ভাইদের দ্বারা সন্তান লালন পালন করে। আছিয়া তার পৈত্রিক সম্পত্তির যে অংশ পায় তার থেকে বেশি গোপনে অন্যত্র বিক্রি করে সেখান থেকে চলে যায়। যার জমির দাগ নং বিআরএস-৪৬৮৪, খতিয়ান নং-৬৬, জমির পরিমাণ-৪৮ শতাংশ, মৌজা-চর রঘুরামপুর ও দাগ নং-১৬৮ ডিপি খতিয়ান-১৯, জমির পরিমাণ-৪০ শতাংশ, মৌজা-কুনিয়ামারী, সদর, ময়মনসিংহ। প্রকৃতপক্ষে উক্ত জমি থেকে আছিয়া পৈত্রিক সম্পত্তির হিস্যা অনুযায়ী মাত্র ৩ শতাংশর কিছু বেশি জমির মালিক।
কিন্তু সে প্রতারণা করে দুই দাগ থেকে ২০ শতাংশ জমি বিক্রি করে। উক্ত জমি স্থানীয় আনোয়ার হোসেন সবুজ গংরা ক্রয় করে এবং মালিকানা দাবী করে ময়মনসিংহ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করে যার নং-১০১৭৩/২০১৩। উক্ত মামলায় সবুজ গংরা হেরে যায়। পরবর্তীতে উক্ত জমিতে সিরাজ গংরা চাষাবাদ করতে গেলে গত ১১/০১/২০২৪ ইং তারিখ আনোয়ার হোসেন সবুজ, আবজাল হোসেন হলুদ, উজ্জল মিয়া, সোহেল গংরা তাদের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। আহতরা হলেন সিরাজুল ইসলাম (৫০), হেলেনা (৪৫), ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা (৪০) ও ছেলে মোজাম্মেল হক (২০)। হেলেনার হাত ও আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে।
উক্ত ঘটনার পরদিন সিরাজুল ইসলাম বাদী হয় ময়মনসিংহ আদালতে মামলা করলে আদালত ওসি কোতোয়ালীকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, এক মাসের অধিক সময় হলো এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং প্রকাশ্যে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষি আকর্ষণ করেছে ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম।