রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
নিজস্ব সংবাদদাতা কুমিল্লা –০৭/০৩/২৪ ইং তারিখ রাত অনুমান- ১২.৩০ ঘটিকা হইতে ভোর অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে মনোহরগঞ্জ থানাধীন ২নং সরসপুর ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডস্থ সরসপুর পূর্ব সাকিনস্থ জনৈক আবদুল মতিন(৪৭), পিতা- মৃত রফিক উল্লা, মাতা- মনোয়ারা খাতুন, সাং- সরসপুর(কিসমত হাজি বাড়ী) ২নং সরসপুর ইউনিয়ন, ওয়ার্ড নং-০৪, থানা- মনোহরগঞ্জ, জেলা-কুমিল্লার বসত ঘরের পূর্ব পার্শ্বের গোয়ালঘর হইতে ০১টি ধূসর রংএর গাভী গরু ও ০১টি লাল রং এর বকনা বাছুর যাহার মূল্য অনুমান ১,০০,০০০/-(একলক্ষ) টাকা, অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা চুরি করিয়া নিয়ে যায়। জনৈক আবদুল মতিন সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করিয়া তাহার গরু না পাইয়া অদ্য ১৩/০৩/২৪ ইং তারিখ বাদী হইয়া মনোহরগঞ্জ থানায় হাজির হইয়া এজাহার দায়ের করিলেঃ- মনোহরগঞ্জ থানার মামলা নং- ০২, তারিখ-১৩/০৩/২৪খ্রিঃ, ধারা- ৩৮০ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা করিয়া এসআই(নিরস্ত্র) জিকু শীল এর উপর দায়িত্ব অর্পন করা হয়।
মামলা রুজু হওয়ার পর হইতে সহকারী পুলিশ সুপার, লাকসাম সার্কেল, জনাব সোমেন মজুমদার এবং মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব হানিফ সরকারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এসআই(নিরস্ত্র) জিকু শীল সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চোরাই গরু বহনকারী পিকআপ গাড়ীটি সনাক্ত করিয়া ০১টি নীল রংএর পিকআপ যাহার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্টো-ন-২০-২১১১ জব্দ করতঃ ড্রাইভার মুক্তার হোসেন(৫২) পিতা- মৃত নজির উল্লাহ, সাং- সরসপুর(মুন্সী বাড়ি) থানা- মনোহরগঞ্জ জেলা-কুমিল্লাকে ধৃত করিতে সক্ষম হন। পিকআপ ড্রাইভার মুক্তার হোসেন কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সহিত জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং জানান যে চোরাই চক্রের মূলহোতা চোরাইকাজে ব্যবহৃত পিকআপ যাহার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্টো-ন-২০-২১১১ এর মালিক মোঃ নাছির উদ্দিন(৪০) পিতা- আব্দুল জলিল মিয়া, সাং- ভাউপর,মির্জা বাড়ী, থানা- মনোহরগঞ্জ, জেলা-কুমিল্লা তাহাকে চোরাই গরুগুলো চোরাই চক্রের সদস্য আব্দুল খালেক, পিতা- মৃত আলীম মিয়া, সাং- ভাউপুর, মির্জা বাড়ি, থানা-মনোহরগঞ্জ, জেলা-কুমিল্লা এবং অজ্ঞাতনামা সদস্যদের সহায়তায় চোর চক্রের সদস্য হুমায়ুন কবির, পিতা- মৃত মাওলানা মফিজর রহমান, সাং- চড্ডা, পাটোয়ারী বাড়ী, থানা- মনোহরগঞ্জ, জেলা-কুমিল্লা, এর বসত বাড়ীর পৌছে দেওয়ার জন্য। তাহার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই চক্রের সদস্য ১। নাছির উদ্দিন, ২। আব্দুল খালেক, এর ঠিকানায় অভিযান পরিচালনা করিয়া আব্দুল খালেক(৬৫) পিতা- মৃত আলীম মিয়া, সাং- ভাউপুর, মির্জা বাড়ি, থানা-মনোহরগঞ্জ, জেলা-কুমিল্লাকে ধৃত করে-ন এবং নাছির উদ্দিন তাহার নিজ বাড়ী থেকে সু-কৌশলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে মুক্তার হোসেন এবং আব্দুল খালেক উভয়কে চোরাই গরুর বিষয়ে আরো জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চোর চক্রের সদস্য হুমায়ুন কবির, পিতা- মৃত মাওলানা মফিজর রহমান,সাং- চড্ডা, পাটোয়ারী বাড়ী, থানা- মনোহরগঞ্জ, জেলা-কুমিল্লা এর ঠিকানায় অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে উপস্থিত হইলে পুলিশের উপস্থিতি টের পাইয়া চোর চক্রের সদস্য হুমায়ুন কবির সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে চোর চক্রের সদস্য হুমায়ুন কবির এর বসত বাড়ীর সম্মুখে তাহার দোকান ঘরের ভিতর হইতে চোরাইকৃত ০১টি ধূসর রংএর গাভী গরু ও ০১টি লাল রং এর বকনা বাছুর উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা। চোরাই চক্রের পলাতক সদস্য সহ অনান্য অজ্ঞাতনামা সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
