জেলা প্রতিনিধি :: রাঙ্গামাটি শহরের গর্জনতলী এলাকায় গত দুই দিনে বানরের কামড়ে শিশুসহ ২ জন আহত হয়েছেন। গর্জনতলীর বিভিন্ন এলাকায় বানরের কামড়ে তাঁরা মারাত্মক জখম হয়ে আহত হন। আহতরা হলেন, গর্জনতলী এলাকার বাসিন্দা লিটন ত্রিপুরার মেয়ে, সোহেল ত্রিপুরার ছেলে, অমিত ত্রিপুরা ছেলে। আহতরা বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেনালের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহন করছেন। আহত কয়েকজন জানান, বানরটি হঠাৎ করে দলছুট হয়ে শহরের গর্জনতলী এলাকার লোকালয়ে প্রবেশ করে। আর ছুটে গিয়ে খাবারের সন্ধানে বানরটি এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুদিন ধরে পাড়ার বিভিন্ন এলাকায় বানরটি সামনে কাউকে পেলে কামড়ে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা এলাকাবাসী ঝিনুক ত্রিপুরা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে দল থেকে ছুটে এসে পাড়ার লোকালয়ে প্রবেশ বানরটি। আর খাবারের সন্ধানে পাড়ার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে হানা দিচ্ছে। আর সুযোগ পেলে পাড়ার মানুষদের খামচি ও কামড় দিয়ে পালাচ্ছে।
এতে করে এলাকার ছোট ছেলে মেয়েরা নিরাপদে খেলাধুলা ও রাস্তায় চলাচল করতে পারছে না। পাড়ায় বসবাসরত পুরো এলাকার মানুষ বর্তমানে বানরের আতংকে রয়েছে। তাই হিংস্র বানরের জন্য এমন আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থা থেকে পরিত্রাণে প্রশাসন ও বন বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এদিকে স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, হিংস্র বানর থেকে বাঁচতে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের ঘরের বাইরে খেলতে ও স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরাও ভয়ে স্কুলে যেতে চাচ্ছে না বলে দাবি অভিভাবকদের।
এদিকে, গর্জনতলীতে বানরের আক্রমনের বিষয়টি সদর রেঞ্জ অফিসার আব্দুল হামিদকে জানানো হলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে গর্জনতলীতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ফরেস্টার মো: জব্বারের নেতৃত্বে ৩জনের একটি টিম বানরের খোঁজে পাঠানো হয়। তারা এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে বানরের খোঁজ নেয়। তবে এসময় বানরটিকে দেখা না গেলে ও বন বিভাগের পক্ষ থেকে এলকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয় এবং বানরের অবস্থান দেখলে সাথে সাথে বন বিভাগকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়।