ময়মনসিংহ থেকে সিরাজুল হক সরকার: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সংখ্যালঘুদের দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের সালড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সালড়া গ্রামের টগর চন্দ্র বর্মন তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বিআরএস দাগ নং ৭৭৪, যার খতিয়ান নং ৫০৮, জমির পরিমাণ ৪ শতাংশ জমি নিজ দখলে থেকে সালড়া মোড়ে দর্জি ও কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। উক্ত গ্রামের ছাবেদ আলী সরকারের পুত্র ফরহাদ হোসেন ও আলতাব আলী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শনিবার সকাল ৭টায় ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী নিয়ে তার দোকান ঘরে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে সমস্ত মালামাল লুট করে নেয়। দোকান ঘর ভেঙ্গে টিনের চালা ও বেড়া ও খুটিসহ যাবতীয় মালামাল লুট করে নেয়। এতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে বলে ভুক্তভোগী টগর জনান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র মতে, সালড়া গ্রামের মৃত মাদব চন্দ্র কুচের তিন পুত্র মুকুল কুচ, টগর কুচ, সুপেন কুচ। মাদব চন্দ্র কুচ ১৯৮৪ সালে আরওআর দাগ নং ৬০৪ থেকে ১৮ শতাংশ জমি ছাবেদ আলী সরকারের কাছে বিক্রি করে। পরবর্তীতে ঐ জমির উপর দিয়ে সরকারী হালট হয়। এতে উক্ত জমি থেকে হালট বাবদ ৪ শতাংশ জমি খাসে চলে যায়। ১৯৮৫ সালে ভূমি জরিপের সময় ১৪ শতাংশ জমি রেকর্ড হয় যার বিআরএস দাগ নং ৭৭৫। উল্লেখ্য, আরওআর ৬০৪ দাগের জমি বিআরএস রেকর্ড হলেও সম্পূর্ণ সম্পত্তি সরকারি খাস খতিয়ান ভূক্ত ১/১ খতিয়ানে অন্তর্ভূক্ত হয়। অন্যদিকে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৬০৪ দাগ থেকে টগর চন্দ্র বর্মন এর নামে ৪ শতাংশ জমি বিআরএস রেকর্ড হয় যার দাগ নং ৭৭৪। উক্ত জমি গুলোর সরকারি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভূক্ত হলেও ছাবেদ আলীর পুত্র ফরহাদ ও আলতাব ভূমি অফিসের যোগসাজুসে টগরের জমি সহ জমা খারিজ করিয়ে নেয় এবং টগরকে উক্ত জমি থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে টগর মুক্তাগাছা সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর জমা খারিজ বাতিলের জন্য আবেদন করেন। অন্যদিকে, টগর তার পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার জন্য মুক্তাগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
টগর জানান, আমরা সংখ্যালঘু কুচ বংশ। ছাবেদ আলী সরকার প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমার পিতার নাম শ্রী মাদব চন্দ্র দাস লিখে জমি দলিল করে নিয়েছেন। আমাদের সন্দেহ জমির দলিলে আমার পিতা স্বাক্ষর দিয়েছে কিনা? কারণ আমার পিতার নাম মাদব কুচ অথচ দলিলে লেখা হয়ে শ্রী মাদব চন্দ্র সাহা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সংখ্যালঘু পরিবারটি।