দিনাজপুরের নিমতলায় সরকারি খাস জমিতে অবস্থিত ১৫ টি দোকানের চাঁদাবাজী ও ভাংচুরের হুমকি দিচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার  দিনাজপুর –সরকারি বিধি মোতাবেক ৭০ বছর যাবত সরকারী খাস জমিতে ব্যবসা পরিচালনা করে আসার পর এখন সন্ত্রাসীরা মাস্তানি কায়দায় উত সরকারী খাস জমিতে অবস্থিত দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের হুমকি দিচ্ছে।  ইতিপূর্বে সন্ত্রাসীরা উক্ত দোকানে বে আইনী ভাবে জোরপূর্বক তালা লাগিয়ে দেয়। পড়ে কোতয়ালী থানার লিজ গ্রহণকারী দোকান মালিক ও অবৈধ দখলদারদের কাগজপত্র নিয়ে থানায় তলব করলে দখলকারীরা কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পাড়লে থানা কতৃপক্ষ লীজ গ্রহণকারী ব্যাক্তির দোকানের তালা খুলে তাকে ব্যবসা করার অনুমতি প্রদান করেন। কিছুদিন চুপ থাকার পর আওয়ামীলীগের এই সন্ত্রাসীরা সময় সুযোগ বুঝে আবার লীজ গ্রহণকারী দোকান মালিককে দোকান খালি করার বে আইনী হুমকি দিয়ে আসছে। যারা লীজ গ্রহণকারী দোকান মালিককে হুমকি দিয়ে আসে দোকান খালি না করলে তার দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট করে দোকান খালি করবে। এমতাবস্থায় লীজের দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জানমাল রক্ষাতে লীজ গ্রহণকারী ব্যাক্তি কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। ঘটনার বিবরণের জানা যায়, প্রাণনাথপুর মৌজার নিমতলা দিনাজপুর মহল্লার ২৭৯০ দাগের ০.১৮৭৫ একর জমির মুল মালিক ছিলেন দেও চন্দ্র রায়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের আগে উক্ত দেও চন্দ্র রায় ভারতে চলে যান। পরবর্তী সময়ে উক্ত সম্পত্তি নিলামে খরিদ করেন আবুল বরকত। উক্ত আবুল বরকতের বিরুদ্ধে ০২/১১/১৯৬১ সালে নিলাম বাতিলের উক্ত মামলা হয়। যার মামলা নম্বর ৮৯৯/৬১ দিনাজপুর জাজ কোট-১ এর তৎকালীন জেলা জজ আব্দুস সোবাহান উক্ত মামলায় নিলাম বাতিল করে উক্ত জমিটি ভি,পি বলিয়া আদেশ করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাফিজুদ্দিন ৩০/১০/ ১৯৯৩ ইং তারিখে একটি হাইকোর্ট ফ্রোম নম্বর (জে) ৩ আপিল দায়ের করেন। যার দরখাস্ত নম্বর-৮৮৩/২০১৪ আপিল নম্বর-২১০/৯০ উক্ত আপিলে তৎকালীন জেলা জজ মোঃ আব্দুর রশিদের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২২/০১/২০০৩ ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট বিজ্ঞ নিম্ন আদালত কতৃক ডিগ্রি বহাল রেখে উক্ত আপিলটি খারিজ করে দেন। যার ফলে উক্ত সম্পত্তিটি সরকারের খাস খতিয়ানে অন্তভূক্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে সরকার কতৃক দিনাজপুর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ২২/০৫/২০১৭ ইং তারিখে এসএ খসিয়ান ভুক্ত ২৭৯০ দাগের ০.১৮৭৫ একর সম্পত্তির ব্যাক্তি মালিকানা স্বত্বের বিলুপ্তী ঘটে। উক্ত আদেশের ফলে বাংলাদেশ জরিপের এস, এ ২৭৯০ দাগের ০.১৮৭৫ একর সম্পত্তির রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ১২ ধারা মোতাবেক খাস ঘোষনা পুর্বক আর,এস ০১নং- খতিয়ান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার রেজিস্ট্রার-১.১১ সংশোধনসহ এ আদেশ রেজিস্ট্রার ৮ এ এই সরকারী সম্পত্তিতে অবস্থিত ১৫ টি দোকান ঘর খাস খতিয়ান ভুক্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত স্থানে অবস্থিত ১৫ টি দোকান ঘরের মালিক সরকারী বিধি মোতাবেক লীজ গ্রহণ করে সেখানে ৭০ বছর যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এই ১৫ দোকান ঘর ও যায়গার আদালত কতৃক খারিজকৃত মামলার ভুয়া মালিক আবুল এহসান, সোহেল ইমতিয়াজ পিতা মৃত আবুল হাসান উভয় সাং- মুন্সিপাড়া। মোঃ আফজাল হোসেন, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক পিতা মৃত শফিউদ্দীন সাং- চক বাজার জোর জবরদস্তি ও তাদের মাস্তান ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উক্ত সরকারী খাস জমিতে অবস্থিত দোকানগুলি হইতে অবৈধ ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভাড়া তুলে খাচ্ছেন। আবার তারা নতুন করে দোকানঘর গুলি মালিকদের নিকট থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করছেন। তারা বলছে দোকান মালিকরা তাঁদেরকে চাঁদা না দিলে উক্তবখাস খতিয়ান জায়গায় অবস্থিত দোকানগুলি খালি করার জন্য লুটপাট ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করবে। এমতাবস্থায় উক্ত অসহায় লীজকৃত দোকান মালিকরা সন্ত্রাসীদের ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।