শিক্ষা উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ—– আওয়ামী পন্থী দূর্নীতিবাজ প্রফেসর রণজিৎদর এর বিচার করবে কে?

রূপান্তর বাংলা নিজস্ব সংবাদদাতা–
রাঙামাটি জেলার রাজস্হলী উপজেলার অন্তরগত বাঙ্গাল হালিয়া সরকারি কলেজের প্রফেসর রঞ্জিতদর বিগত সরকারের দালাল বলে খেত মদ গাঁজা ইয়াবা খাওয়া সর্বদাই যার নেশা, শ্রীনি কার্যক্রমে ঠিকমতো সময় দিতে না পারলেও নিরবে আওয়ামি নেতাকর্মীদেরকে তিনি সময় দিয়ে যাচ্ছেন। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওবাচ মারবার নির্বাচন কার্যক্রম সশরীরে চালিয়েছেন এবং ভোটারদের নিকট ভোট চেয়েছেন,
রঞ্জিত দর আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন, চাকরিতে যোগদান করার পর হইতেই বিগত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, শ্রী রঞ্জিতদর কে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সুশীল সমাজের কয়েকজন নাগরিক বর্তমান সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা সহ প্রধান উপদেষ্টার নিকট দাবি জানিয়েছেন, বৈষম্য বিরোধী জনতা পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক এডভোকেট আব্দুল ওয়াহেদ হোসাইনী বলেন
আওয়ামী সরকারের অপশাসন, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, ভোটবিহীন নির্বাচনসহ নানা অপকর্মের জন্য রাষ্ট্রের আপামর সকল নাগরিকের মনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে বিস্ফোরক-উন্মুখ ছিল।

বিএনপি, জামাত, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, প্রভৃতি রাজনৈতিক দল ছাড়াও জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও আরও অনেক প্রগতিশীল ধারার রাজনৈতিক দল থাকা সত্ত্বেও হাসিনার অপশাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। কারণ, ৫৩ বছরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জনগণের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি আর প্রতারণা করার ফলে রাজনীতিবিদদের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

তাই ঐ সমস্ত রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে ১৫ বছরে হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কিছু করতে সক্ষম হয়নি।

অবশেষে আমাদের তরুণ ছেলেমেয়েদের কাঁধে তাদের সওয়ার হতে হয়েছে। তরুণ ছাত্রদের কোটা আন্দোলন, পরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের উপর ভর করে আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহকে আন্দোলন করতে হয়েছে।

দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং বিশৃঙ্খলতা এড়াতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সমর্থনে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তন, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক প্রভূত বিষয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। যার প্রধান উপদেষ্টা করা হয় প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূস সাহেবকে। আমরা আশা করব প্রফেসর রঞ্জিতদর সহ বিগত সরকারের এজেন্ট বাস্তবায়ন যেসব সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষকগণ মাঠ পর্যায়ে সশরীরে ভূমিকা রেখেছেন তাদের সকলকে সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া । চলবে,,