রুপান্তর বাংলা ডেক্স—আওয়ামী সরকারের দালাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্রের বিচার দাবি করলেন এলাকার সুশীল সমাজ ও নিরীহ সাধারণ জনগণ রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র, চাকরি জীবনের আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিল আর সেই সুবাদে আওয়ামী দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় হয়ে যান বিসিএস কর্মকর্তা, বর্তমানে তিনি রাজস্হলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই আওয়ামী দালাল হিসেবে পরিচিত এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলায় অন্যায় অবিচার দুর্নীতির সীমারেখা পার করে চলেছেন তিনি, প্রশাসনে আওয়ামী লীগের অনেক দালাল কর্মকর্তা থাকায় এসব কর্মকর্তার বিচার হচ্ছে না বলে মত প্রকাশ করেছেন এলাকার সুশীল সমাজ
রাজস্থলী উপজেলায় বিগত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে একনিষ্ঠতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি, ছলচাতুরি অন্যায় জুলুমের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব উবাচ মারমার পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যের শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া ব্যক্তি জনাব মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রানা, তিনি আরো বলেন বিগত সরকারের এমপি মন্ত্রীর পালা শেষ উপজেলা নির্বাচনে যারা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জাল ভোট প্রয়োগ,ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্ষমতায় বসিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি, দেশের প্রত্যেকটা জেলায় জেলা পরিষদ ভেঙে দিতে হবে পাশাপাশি পার্বত্য জেলার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরা অন্তবর্তী কালীন সরকারের কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে যেন অংশগ্রহণ করতে না পারে
সে বিষয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
রিয়াজউদ্দিন রানা আরো বলেন
রাজনীতি একটি মহৎ কাজ, যার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জনগণের সেবা করা, সমাজের উন্নয়ন ঘটানো এবং দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ করা। কিন্তু যখন রাজনীতি একটি ব্যবসায় পরিণত হয়, তখন এর মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়া স্বাভাবিক।
বর্তমান সময়ে অনেকেই রাজনীতিকে একটি ব্যবসার মাধ্যমে দেখছে। রাজনীতিবিদদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ক্ষমতায় আসার পর অযৌক্তিকভাবে সম্পদ অর্জন করেন, যা জনগণের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক রাজনীতি যদি সেবার জায়গা থেকে সরে এসে ইনকামের মাধ্যম হয়ে যায়, তাহলে এর মূল উদ্দেশ্যই নষ্ট হয়ে যায়।
অন্যদিকে, রাজনীতিতে যেসব মানুষ প্রকৃতভাবে সেবা করার জন্য আসেন, তারা ক্ষমতায় আসার পরও নিজেদের জীবনে পরিবর্তন আনতে না পারলেও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যান। কিন্তু যখন রাজনীতি একটি ইনকামের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়, তখন এ ধরনের মানুষের সংখ্যা কমে যায় এবং দুর্নীতির মাত্রা বেড়ে যায়।
রাজস্থলী উপজেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে অনেকেই ফকির থেকে হয়েছেন কোটিপতি সেসব বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন,
রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের অর্থ কোথায় কিভাবে ব্যয় হচ্ছে, তা প্রকাশ্যে আনতে হবে। সরকারি প্রকল্পের টেন্ডার থেকে শুরু করে উন্নয়ন খাতে সকল কাজে স্বচ্ছতা রাখতে হবে।
রাজনীতিবিদদের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়মিতভাবে জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে এবং কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাজনীতিতে সেবার মনোভাব ফিরিয়ে আনার জন্য নতুন প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিজেদের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং সেবার মনোভাব নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করতে হবে।
রাজনীতি থেকে ইনকাম বন্ধ করা না গেলে, জনগণের আস্থা ক্রমেই হ্রাস পাবে এবং সমাজের সকল স্তরে দুর্নীতি আরও বেড়ে যাবে। তাই, আমাদের সকলেরই উচিত এই বিষয়ে সচেতন হওয়া এবং রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা। রাজনীতি হতে হবে সেবার জায়গা, ইনকামের জায়গা নয়।
পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতি করার জন্য যেসব সরকারি আমলা কর্মকর্তাগণ রাজনীতিবিদের দালালি করে হয়েছেন কোটিপতি তাদের কে আইনের আওতায় আনতে হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত কোন অভিযোগ কোথাও করেছেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।