চট্টগ্রামে রাজনৈতিক পাওয়ার খাটিয়ে গড়ে ওঠেছে ত্রাসের রাজত্ব প্রশাসন নিরব-পর্ব ১ ক

বিশেষ সংবাদদাতা জাহাঙ্গীর হোসাইন –চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানা ও উপজেলায় প্রকাশ্যে চলছে মদ গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসা এ যেন নিত্যদিনের পথ চলা, চট্টগ্রাম মহানগরীর বিহারি কলোনি ও পাহাড়িকা পাম্পে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা, রাজনৈতিক পাওয়ার খাটিয়ে গড়ে ওঠেছে ত্রাসের রাজত্ব।
ছাত্র- জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের মধ্যমে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চুপসে থাকা আগের দিনের মাদক কারবারি ও ছিনতাই ও অবৈধ দখলদাররা, নীরব ভূমিকায় প্রশাসন।
এ যেন তাদের আরো অনেক বেশি পেশিশক্তি প্রকাশের সুযোগ, প্রশাসনের এমন ভূমিকাতে এলাকাবাসী আছেন চরম হতাশাত। হামলা ছিনতাই সহ এলাকাতে বেড়েছে মাদকের চোরাই কারবার। যেটি আগে হতো আড়ালে তা এখন দিনের স্বচ্ছ আলোতে। রাজনৈতিক পরিচয়ে গড়ে ওঠেছে ত্রাসের রাজত্ব। প্রতিবাদ হলেই তা কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করে এইসব গ্যাং লিডার।
তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট কালেক্ট করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজ।
চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানার নিউ শহীদ লেন বিহারি কলোনির ও পাহাড়িকা পাম্পের আশপাশ এখন অবৈধ অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়িদের দখলে। হামলা, লুটপাট ছিনতাই ও মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে।
সূত্র অনুযায়ী এরা সবাই যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। যুবদলের মহানগরীর সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তি ও খুলশী থানার যুবদলের আহ্বায়ক হেলাল হোসেনের অনুসারী যুবনেতা মনির ওরফে বাইট্টা মনির ওরফে ইয়াবা মনিরের ছত্রছায়ায় তারই আপন ছোট ভাই যুবনেতা মহিউদ্দিন ওরফে বাইট্টা মহিন এবং তার অনুসারী যুবদলের আবু,করিম,শাহীন,বাবুল,রকি,আলমগীর ও রাজু সহ আরো অনেকেই মিলে গড়ে তুলেছে মাদকের সাম্রাজ্য, অবৈধ অস্ত্রের মহড়া ছিনতাই, হামলা লুন্ঠন সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত এই গ্যাং।
৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর বেশকিছু ব্যানারে তাদের ছবি প্রকাশিত হয়, তাছাড়া মহানগরের বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাদের সাথে তাদের ছবি ফেসবুক প্রচারের মাধ্যমে তারা এলাকাতে অন্য রকমের ভয়ের সঞ্চার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় পাহাড়িকা সিএনজি পাম্পের সামনে চলে তাদের মাদকের আড্ডা, রকি ওরফে বাইট্টা রকি মাদক দ্রব্য সরবরাহ কাজে তদারকি করে, এলাকাতে কেউ কিছু বললে বাইট্টা রকি তাদের যুবদলের খুলশী থানার আহ্বায়ক হেলালের অথবা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি দিপ্তি ভাইয়ের নামে ভয় দেখায়।
মহিউদ্দিন ওরফে বাইট্টা মহিন এর এমন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ, কিছু বললে হামলা করে বসে তার অনুসারীরা, “আগে তো ধমক দিয়ে চলে যেতে আর এখন ঘর থেকে এনে মারে” বলে জানান এলাকাবাসী। মাদকদ্রব্য আইনে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছিল মহিন ও রকি সহ আরো কয়েকজন, সবগুলো মামলাতে তারা জামিনে এসে সে আগের কাজই পরিচালনা করতো, সবশেষ তাদের গ্রেফতার করছিল র‍্যাব। সেখান থেকেও তারা জামিনে ফিরে এসেছে।
গত ৫ই আগষ্টের পর তারা যে তান্ডব দেখিয়েছে তা আগের সব কিছু কে ছাড়িয়ে গেছে, আওয়ামী লীগ করে কিন্তু সে আওয়ামী লীগ কর্মীও না, তারা তার বাড়িতেও হামলা করছে। লুটপাট ডাকাতি হতে শুধু বাড়িঘর না এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাদ পড়েনি, প্রশাসনের নিরব ভূমিকা এদের আরো চাঙা করে তুলেছে, আমারা এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। অপর আরেক জন বলেন এরা সমাজের বিষফোঁড়া যত দিন যাবে একটি আরো ব্যাপক হবে। মাদক,অস্ত্র, চুরি, ডাকাতি সহ আরো নানান অপকর্মে সংগঠিত এই বাহিনী এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস করে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মাদক, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট সহ নানা অপকর্মের নামে নানা অভিযোগ থাকার পর ও শুধু মাত্র রাজনৈতিক পরিচয় তাদের ধরাছোঁয়ার বাহিরে রেখেছে।