নারিকেলীতে বিরোধপূর্ন জমি থেকে ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা

নিজস্ব প্রতিনিধি—জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের নারিকেলী পারপাড়া গ্রামের জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে জমিতে উত্তোলিত ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। জানা যায় নারিকেলী গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম দীর্ঘ প্রায় ১ যুগ আগে পারপাড়া মৌজার মধ্যে সি এস ৩৮ ও আরওআর ৬১ খতিয়ান বিআরএস ০৬, ডিজিটাল খতিয়ান বিএস ৪০১, যার সিএস দাগ নং—১২০, আরওআর ১২০/২১২ বাট্টা, বিআরএস দাগ নং—২২৮, ডিজিটাল দাগ নং—বিএস (৬০০), জমির পরিমান বিআরএস ০.৩২ একরের কাতে দক্ষিনাংশে ৫.৩৪ শতাংশ। যাহার উত্তর মিজান, দক্ষিণে হারুন, পূর্বে—সিএন্ডবি রোড, পশ্চিমে—জসিম উক্ত জমিটি ক্রয় করেন। কিন্তু নারিকেলী গ্রামের মৃত তহির উদ্দিনের পুত্র মোঃ রফিক, মোঃ মিজানুর রহমান গং জমিটি তাদের দাবি করে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালত, জামালপুরে ১৪১৩/২০২১নং অন্য প্রকার মামলা দায়ের করেন। যার কারনে বিজ্ঞ আদালত উক্ত ভূমিতে স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। জমিটি নজরুলের দখলে নিয়ে ঘর উত্তোলন করলেও শনিবার সকালে বিবাদীরা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন দীর্ঘ দিন আগে আমি তাদের ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করেছি। আমি সেখানে ঘর উত্তোলন করেছি। কিছুদিন যাবৎ তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিয়ে আসছে যার কারনে আমি গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে জামালপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। যার নং—১১৮৪। হঠাৎ তারা আমার ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং মালামাল উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কেন্দুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন জমিটি আমার ছোট ভাইয়ের। সে দীর্ঘ দিন আগে ক্রয় করেছে। আমরা চেয়েছিলাম বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার। কিন্তু অভিযুক্ত মোঃ রফিক, মিজানুর গং তাদের প্রভাব খাটিয়ে আসছে। যার কারনে মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি। জমিটি নিয়ে বর্তমানে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আদালত যে রায় দিবে আমরা তা মেনে নিবো। অভিযুক্ত মোঃ রফিক বলেন জমিটি আমাদের, নজরুল জোর করে ঘর তুলেছে। জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।