ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: সরকারি নিয়ম অমান্য করে ডিজির প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ছাত্র-অভিভাবক সদস্য ও প্রধান শিক্ষক সবাই আইন জানার পরও অবৈধভাবে স্কুলের সভাপতির ছেলেকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ এবং নিয়োগদান সম্পন্ন করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেছেন।
জানাযায়, মুক্তাগাছা উপজেলার কাঠবওলা জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজনু সরকার তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালেদ এর প্রভাব দেখিয়ে সরকারি আইন অমান্য করে তার স্কুলে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে তার নিজ ছেলেকে চাকুরী দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ করলেও নিয়োগ দিতে বিরত থাকেননি। সাধারণ মানুষের দাবী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মজনু সরকার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালেদ এর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসাবে স্কুলে একক ভাবে আধিপত্য বিস্তার করে সভাপতি হন। বিগত ১৫ বছর যাবত স্কুলের সভাপতি থেকে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে নিজ পুত্রকে সরকারি আইন অমান্য করে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার পদে চাকুরী দেন।
সূত্র মতে, ১০ জানুয়ারী ২০১৯ সালে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ১১ এপ্রিল ২০১৯ নিজে ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত থেকে তার ছেলে কামরুল ইসলাম কে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার পদে চাকুরী নিশ্চিত করেন। অবশ্য তার ছেলের সাথে দুইজন ডামি প্রার্থী দেখিয়ে ইন্টারভিউ সম্পন্ন করেন। ১৩ এপ্রিল নিয়োগ পত্র প্রদান করেন। বিষয়টি এলাকার সচেতন মহল জানার পরও আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউনিয়ন চেয়াম্যান এবং মন্ত্রীর অতিকাছের লোক হওয়ায় প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর এলাকাবাসী সভাপতির ছেলের চাকুরীর বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে গত ২৯ ডিসেম্বরের পর থেকে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর কামরুল ইসলামকে স্কুলে আসতে দেখা যায়নি। তবে কামরুল ইসলাম চিকিৎসা ছুটি নিয়েছেন বলে স্কুল সূত্রে জানা যায়। এলাকাবাসী বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ দূর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ ব্যাপারে তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সভাপতির পুত্র বা তার রক্তের সম্পর্কের কেউ সভাপতি থাকা কালীন সময়ে চাকুরী দেয়ার বিধান নেই। তাহা সরকারি ভাবেই প্রজ্ঞাপন/চিঠি দেয়া আছে।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আইন আমি জানি। সভাপতি আমাকে সাসপেন্ট করার হুমকি দেওয়ায় আমি নিরব রয়েছি। সভাপতি ও মন্ত্রীর ভয়ে আমাকে সদা টতস্থ থাকতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক সভাপতি মজনু সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি তাহার ছেলেকে চাকুরী দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।