রুপান্তর বাংলা চন্দ্রঘোনা থানা প্রতিনিধি–
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল রাঙ্গামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানায় যোগদানের পর থেকে আইন শৃংখলার পরিস্থিতি ব্যাপক উন্নতির পাশাপাশি বদলে গেছে চন্দ্রঘোনা থানার কার্যক্রমের চিত্র। সেই সাথে চন্দ্রঘোনা থানা সীমানায় বসবাস রত সাধারণ মানুষেরা যে ভাবে আইনি সহযোগীতা বা নিরাপত্তা হিনতায় ইতিপূর্বে ভূগতেছিলেন নবাগত ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল যোগদান করার পর থেকে সেই ভয় ভীতি এখন আর কাজ করছে না বলে জানান সাধারণ জনগণ, বর্তমানে পুলিশি আইনি কার্যক্রম এর ত্রুটি বিচ্ছেদ তেমন সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা। ভারপ্রাপ্ত কর্মকমর্তা ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল সাধারণ মানুষের জন্য যে ভাবে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে দিনে রাতে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ইতিপূর্বে কখনোই এরকম সেবা চন্দ্রঘোনা থানা থেকে সাধারণ জনগণ পাইনি। গত ডিসেম্বর-২০২৪ইং ডাকাতি, ছিন্তাই, চাঁদাবাজি, খুন, গুম, রাজনৈতিক সহিংসতা, এবং রাজনৈতিক হত্যা, অবৈধ জমি দখল, ইত্যাদি নানা ধরনের কার্যক্রম ব্যাপক আকারে চললেও চন্দ্রঘোনা থানায় (ওসি),,, যোগদান করার পর থেকে এসমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করেছেন। অফিসার ইনচার্জ যোগদান করার পরে থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্য এবং অফিসার দেরকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন যে, আমার চন্দ্রঘোনা থানাধিন অসহায় গরিব খেটে খাওয়া দিন মুজুর মানুষ গুলি যেন
কোন আইনি সেবা থেকে বঞ্ছিত না হয় সে দিকে অবশ্যই আমাদের সকল পুলিশ সদস্যদের খেয়াল রাখতে হবে, এবং যদি কারো কোন গাফিলতি পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চন্দ্রঘোনা থানা সুত্রে আরো জানা যায় যে
কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি)হিসাবে ৫ নভেম্বর যোগদান করেছেন মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল।এর আগে তিনি রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়ি ও চাঁদপুর জেলায় কর্মরত ছিলেন।
মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল (ওসি) হিসেবে চন্দ্রঘোনা থানায় দায়িত্ব গ্রহনের পর ৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং থেকে ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ইং পর্যন্ত মাত্র ০২ মাস ০২৫ দিনের ব্যবধানে রাজনৈতিক
মামলার ওয়ারেন্ট তামিল সাধারণ-জিআর,,,, ওয়ারেন্ট তামিলে (সাজা জি আর)
ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন।
তিনি ০২ মাস ২৫ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন সময়ে গোপন ও প্রকাশ্য অভিজান চালিয়ে মাদক দ্রব্য নিসিদ্ধ ফেন্সিডিল মদ উদ্ধার করেন, মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করেছেন। খোজখবর নিয়ে আরো জানাযায় যে, গত ০৫ আগষ্টের বিপ্লবের পরবর্তী সময় জনগন পুলিশের মধ্যে একটি বৈরি সম্পর্ক হয়েছিল। সে সময় পুলিশ কোন কাজ করতে গেলে জনগনের বাধায় সম্মুখিন হয়েছিল। পুলিশ ও সে ক্ষেত্রে কোন কাজ করতে গিয়ে তখন তারা ভয় পাচ্ছিল। এরকম একটা পরিস্থিতিতে মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল
বুদ্ধিমত্তায় তার দায়িত্ব প্রাপ্ত এলাকায় জনগন ও পুলিশের বৈরী সম্পর্ক দুর করতে সততা ও ভালোবাসা দিয়ে সাধারণ মানুষের মন জয় করেন এবং জনগনের সাথে পুলিশের সম্পর্ক একে অপরের বন্ধু তা ফুটিয়ে তুলেন।
মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল (ওসি)
বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়ি ও চাঁদপুর জেলায়
কর্মরত থাকা কালিন সময় জনগনের সাথে সু- সম্পর্ক বজায় ছিল। সে সময় বিভিন্ন মাদক উদ্ধার এবং ভালো পুলিশিং সেবা প্রদান করার কারনে তিনি পুরস্কৃত হয়েছিলেন। তিনি এই সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে পুলিশ জনগনের সংকটকে দূরীভুত করেন তার সৎ সাহস ও চিন্তা আধুনিক রুচি শিলতার কারনে বর্তমানে বদলে গেছে চন্দ্রঘোনা থানার সকল কার্যক্রম । যার ফলে জনগন এখন থানায় নির্ভিগ্নে সেবা গ্রহন করতে পারছে। সাধারণ মানুষ থানায় অভিযোগ বা জিডি এমন কি সত্য ঘটনা নিয়ে থানায় মামলা করতেও বিলম্ব হচ্ছে না।
ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল এর নেতৃত্বে থাকা থানায় কর্মরত এস.আই, এ.এস.আই, ও নারী পুলিশ,ও পুলিশ সদস্যরা থানার আইন শৃংখলার শান্তি পূর্ন পরিবেশ বজায় রাখতে নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এক সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল (ওসি) বলেন চন্দ্রঘোনা থানায় যোগ দানের পর থেকে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সাধ্যমত পালন করার চেষ্ঠা করছি। আগামী দিনে আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য সততা ও নিষ্টার সাথে পালন করে যেন জনগনের পাশে থেকে জনগনের প্রত্যাশা পুরণ করতে পারি সে জন্য তিনি রাঙ্গামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানা এরিয়ায় বসবাসরত সকল নাগরিক ও দেশবাসীর নিকট দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।