আছিয়ার মৃত্যু অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম খান

আছিয়া আর ফিরলোনা। হিতু শেখে ধর্ষণের কারণে মৃত্যুর সাথে পঞ্জা ধরে না ফেরার দেশে চলে গেল। নিষ্পাপ এ শিশুটির কেন এবং কি কারণে এই মৃত্যু ঘটল। এরূপ ধর্ষকরা আর কতকাল এভাবে ধর্ষণ করে যাবে। ধর্ষক নামে চিহ্নটি কি এ পৃথিবী থেকে মুছে ফেলা যায় না। অবুঝ শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে কিংবা জোর করে এই পাশবিক নির্যাতন থেকে কবে আমরা রেহাই পাবো। এখানে প্রশ্ন এসে যায়, যখন কোন অত্যাচার শুরু হয় তখন তা চলামন চলতে থাকে কিন্তু তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত বিচারে মৃত্যুদন্ডের মতো কঠিন শাস্তি হয় তখন তার মাত্রা অনেকটা কমে আসে কিংবা থাকে না। আমার মনে হয় ধর্ষণ, ইভটিজিং, মাদক ইত্যাদি হঠাৎই আবির্ভাব হয়। প্রশাসন যখন তৎপর হয়ে উঠে বিচারালয় থেকেও সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয় তখন আর অপরাধ গুলো থাকে না। তবে বর্তমান ধর্ষণ অপরাধটা কি শুনে শুনে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে ? এর পিছনে কোন কারণ লুকিয়ে আছে তাও ভেবে দেখা প্রয়োজন। আছিয়ার মায়ের কান্না “আছিয়া আমার মা’রে কোথায় তুই চলে গেলি” এই আছিয়ারে কি আর কোন দিন তার মায়ের হাতে তুলে দিতে পারবো। আমি যখন এই কলামটি লিখছি আমার নাতনীটি চুপ করে এসে বসল আমি শুধু তার দিকে তাকালাম ও আমার দিকে তাকিয়ে কোন দুষ্টুমি না করে চুপ করে চলে গেল। কি তার মর্মার্থ বুঝে উঠতে পারলাম না। আমাদের আছিয়া হারিয়ে গেছে। সরকার যথাযথ মর্যাদায় সুচিকিৎসা থেকে তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং নিতে যাচ্ছে। তবে এ কথা ভুলে গেলে চলবে না আছিয়ার মত আর কোন আছিয়া যেন ধর্ষিত না হয় কিংবা সাদা কাফনে কিংবা কালেমা খচিত মৃত কফিনে আর যেন দেখতে না হয়। আছিয়ার মৃত্যুতে জাতি আজ মর্মাহত, লজ্জিত। ঘৃণা ভরে ঐ নর পাপিষ্ঠদের মুখ আমরা আর দেখতে চাই না। শিশু থেকে সকল নারীই যেন এই অত্যাচারের শিকার না হয়। সকল ধর্ষকদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। সবকিছুর মাত্রা যখন বেড়ে যায় তার পরিণতি মৃত্যু দন্ডের মাধ্যমে শেষ হওয়া প্রয়োজন। সাত কার্য দিবসে বিচার কার্য শুরু করে পনের কার্য দিবসের মধ্যে বিচার কার্য চলমান রেখে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মহোদয় যেন সর্ব বিবেচনায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কিংবা ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে জনসম্মুখে রায় কার্যকর করার বিচারিক আদালতে বিনীত অনুরোধ জানাই।