বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ –রাঙ্গমাটিতে কতিপয় বিএনপির নেতা কর্মী ও ছাত্রদল ক্যাডারদের নিয়ন্ত্রণ করবে কে??

রুপান্তর বাংলা নিজস্ব সংবাদদাতা
রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী ও ছাত্রদল ক্যাডারদের অনিয়ম দুর্নীতি অবৈধ ব্যবসায়ী, অবৈধ ব্যবসায় চাঁদাবাজি,, বিগত সরকারের আমলে কতিপয় বিএনপির নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের সুরে সুর মিলিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অবৈধ বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করছেন, দলীয় লোকদেরকে কোণঠাসা করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে দিয়ে করিয়েছেন অপমান অপদস্ত। উল্লেখযোগ্য উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবৈধ ব্যবসার সুযোগ সুবিধা নিয়ে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন রাজস্থলী উপজেলার বিএনপির নেতা এমদাদুল হক মিলন, বিএনপি নেতা সোলেমান মেম্বার, বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মৌখিক অভিযোগ দেওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রদল চলছে কার ইশারায় ! প্রকাশ্য দিবালোকে ২০ লাখ টাকার অবৈধ সিগারেটসহ শহর ছাত্রদল নেতা মোজাম্মেল হোসেন রাজু গ্রেফতার হওয়ার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও দল থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি: এছাড়াও প্রকাশ্যে দিনের আলোতে জেলা কারাগারের সামনে সাবেক ছাত্রদল ও আইনজীবি ফোরামে নেতা এড: মাসুমকে মেরে রক্তাক্ত করার ঘটনায়ও জড়িত পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা আজিজুল হাকিম আজিমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গোপন সূত্র বলছে: অবৈধ ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল ক্যাডারদের কাছ থেকে মোটা অংকের মাশোহারা নিয়ে জেলা পর্যায়ের গুটিকয়েক নেতা ও
রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রদলের সভাপতিও পৌর ছাত্রদলের সভাপতি জাবেদ দৈনিক খরচ চালান । এলাকায় গুঞ্জন রইয়াছে ছাত্রদল সভাপতি এই জাবেদকে প্রতিরাত্রেই মদের আসরে বসতে হয় মদ না খেলে তার মাথা ঠিক থাকে না এর আগেও মদের আসরেই অতিরিক্ত মদ্যপানের কারনেই স্টোক করেছিলো। দলের নেতৃত্বে যদি এমন ব্যক্তিরা থাকে তাহলে দলের অমঙ্গল ছাড়া আর কিছুই নয়। দলের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকগণের প্রতি রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সচেতন মহল ও সাধারণ জনগণের দাবী জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় যেসব বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ রহি আছে/ অভিযোগ আছে তাদেরকে অতিসত্বর দলীয় শাস্তির আওতায় আনার। যদি দলীয় কোন সিদ্ধান্ত অতিসত্বর নেওয়া না হয় আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব কিন্তু পড়বে। অনেকেই আবার ক্ষমতার দাপট দেখানোর জন্য মুলদলের শীর্ষ পদে থাকার পরেও অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্ব হাতে রেখে দিয়েছেন, গড়ে তুলতেছেন নিজেদের মতো করে বাহিনী, যেসব ব্যক্তিরা একাধিক পোস্ট পদবী নিয়ে অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠন করে দল ভারী করতেছেন তারা আবার জেলা / উপজেলার শীর্ষ নেতাদেরকে তেমন মানেন না। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাঙ্গামাটি জেলা শহরে বসবাসরত দলেরএকনিষ্ঠ কর্মী বলেন এই মুহূর্তে যদি রাঙ্গামাটি জেলার কোথাও দলের কাউন্সিল হয় তাহলে দলের ত্যাগী বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারা অপমানিত হবেন।
এদিকে সুযোগ সন্ধানী বিএনপির অনেক নেতারা জানেন কখন কাকে কিভাবে কাজে লাগাতে হয় আর কিভাবে বশ করতে হয়।