চট্টগ্রামে এক পিটিশনে দুই আদেশ, হট্টগোল।

চট্টগ্রাম থেকে জাহাঙ্গীর হোসাইন—চট্টগ্রামে এক পিটিশনে দুই আদেশকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার জামিন শুনানিতে আদালতে নজিরবিহীন হট্টগোল হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। আদালতে প্রায় এক ঘন্টা ধরে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী সাইফুদ্দিন।

তিনি জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সমাবেশে হামলার ঘটনায় সদরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার ৬ জন আসামীর মধ্যে চারজন আত্মসমার্পন করে জামিন আবেদন করেন। আত্মসমার্পনকারীরা হচ্ছেন- শ্রমিক লীগ নেতা ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আইয়ুব, সহ-সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ওরফে আকবর ও দফতর সম্পাদক বাবু রনি কর ও সদস্য রাজীব ধর। সিবিএ নেতা হামিদুর রহমান ও ইউসুফ আলী সময়ের আবেদন করেন। আদালত প্রথমে সিবিএ নেতা হামিদুর রহমানের সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করেন। ইউসুফ আলীর সময় আবেদন মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১৯ মে নির্ধারণ করা হয়। আদালতে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা সিবিএ নেতা হামিদুর রহমানের সময় আবেদন মঞ্জুর করার জন্য হৈ চৈ শুরু করেন। আর বাদি পক্ষের আইনজীবী জামিন নামঞ্জুর করার ছিল্লাছিল্লি শুরু করেন। আদালতে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। আদালত আবার আদেশ দিতে বাধ্য হন। পরবর্তী আদেশে আদালত হামিদুর রহমানের সময় আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ১৯ তারিখের পরিবর্তে ৮ মে পরবর্তী জামিন শুনানির দিন ধার্য্য করেন। পাশাপাশি আত্মসমার্পনকারী চারজনের জামিন মঞ্জুর করেন। প্রায় ১ ঘন্টার বেশি সময় পর আদালত স্বাভাবিক হয়।

আদালত সূত্র জানায়, জুলাই-আগস্টে তীব্র ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নগরের সিটি কলেজ এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী মাশফিকুর রহমান শান্ত নামের এক শিক্ষার্থী সদরঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তরা ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন। গত ১০ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ২৭ এপ্রিল জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য্য থাকলেও ওই দিন শুনানি হয়নি। পরে আদালতে ৫ মে জামিন শুনানি দিন ধার্য্য করেছিলেন।