কাউখালীতে মামুন হত্যাকাণ্ড ও লাশ গুমের ঘটনায় ৩ জন গ্রেফতার।

রুপান্তর বাংলা স্টাফ রিপোর্টার রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী থানাধীন এলাকায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর মামুন হত্যা ও লাশ গুমের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মামলাটির তদন্তে অগ্রগতি ঘটিয়ে পুলিশ ০৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে কামরুল হাসান এবং রিয়া আক্তার সাথী বিজ্ঞ আদালতে নিজেদের অপরাধ সংগঠনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন:

১. মোঃ আনোয়ার হোসেন (২১), পিতা- নুরুল আলম, সাং- শিয়ালবুক্কা, থানা- রাঙ্গুনিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম,
২. মোঃ কামরুল হাসান (২৪), পিতা- মোঃ সেলিম, সাং- ডাবুন্যাছড়া, ডাকঘর- বেতবুনিয়া, থানা- কাউখালী, জেলা- রাঙ্গামাটি এবং
৩. রিয়া আক্তার সাথী (১৯), স্বামী- মোঃ কামরুল হাসান, সাং- ডাবুন্যাছড়া, ডাকঘর- বেতবুনিয়া, থানা- কাউখালী, জেলা- রাঙ্গামাটি।

উল্লেখ্য, গত ০৭ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ তারিখে কাউখালী থানাধীন কলমপতি ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মোঃ মামুন (৩৮) দুপুরে রাউজান যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাসা থেকে বের হন এবং এরপর থেকে নিখোঁজ থাকেন। পরদিন ০৮ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ তারিখে নিখোঁজ মামুনের স্ত্রী সীমা আক্তার (২৫) কাউখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি নম্বর-৩০৪, তারিখ- ০৮/০৭/২০২৫ খ্রিঃ) করেন।

পরে তদন্ত চলাকালে রাঙ্গামাটি জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার ড. এস. এম. ফরহাদ হোসেনের দিকনির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জনাব নাদিরা নূর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কাপ্তাই সার্কেল জনাব জাহেদুল ইসলাম, পিপিএম তত্ত্বাবধানে, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম সোহাগ এর নিবিড় পর্যবেক্ষণে থানার একটি চৌকস পুলিশ দল এলআইসি শাখার প্রত্যক্ষ সহায়তায় তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রথাগত কৌশল অবলম্বনে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে কাউখালী থানা এলাকা ও লক্ষ্মীপুর জেলা হতে তাদের গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা স্বীকার করেন যে, গত ০৭ জুলাই সন্ধ্যা হতে রাত ১২টার মধ্যে তারা পরস্পর যোগসাজশে মোঃ মামুনকে নেশাজাতীয়/চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে হত্যা করেন। পরবর্তীতে মামুনের মরদেহ খণ্ডিত করে রাঙ্গামাটির নাইল্যাছড়ি এলাকার মাঝের পাড়ার এক পাহাড়ি স্থানে মাটি চাপা দিয়ে গুম করে।

এই মর্মে গ্রেফতারকৃত ৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে কাউখালী থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নম্বর- ০৪, তারিখ- ১৫/০৭/২০২৫ খ্রিঃ, ধারাঃ ৩৪২/৩২৮/৩৮৫/৩৮৬/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড) রুজু হয়।