রুপান্তর বাংলা সংবাদদাতা –ঝিনাইদহে মাদকের ভয়াল থাবায় যুবসমাজ ধ্বংসের পথে। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে দিনের পর দিন ঝিনাইদহে মাদকের বড় চালান নিয়ে আসছে পারভেজ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সিমা। ঝিনাইদহ শহরের কোর্ট পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল এর ভাগ্নে পরিচয়ে আমরুলের বাড়িতেই বড় হয়েছে এই পারভেজ। আমিরুল বর্তমানে ঝিনাইদহের জজকোর্টের ভেতরে চায়ের দোকানদারি করে। দুর-পাল্লার বাস পরিবহনের ড্রাইভার হিসাবে কাজ করলেও পারভেজের মুল পোশা ইয়াবা, গাজা ও ফেন্সিডিল মাদকের ব্যবসা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পারভেজ এক মহিলা মাদকের গডমাদার সিমা’কে বিয়ে করেছেন, যার স্থানীয় ঠিকানা বাগেরহাট জেলা, পারভেজ’কে বিয়ে করে বর্তমানে এই সিমা ঝিনাইদহে গড়ে তুলেছেন মাদকের অভয়ারণ্যে।
ঝিনাইদহ কেন্দ্রিয় বাসটার্মিনাল এলাকায় পারভেজ তার দ্বিতীয় স্ত্রী মাদকের মডমাদার সিমা’কে
নিয়েই বসবাস করতেন কিন্তু সাংবাদিকদের অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে বিষটি বুঝতে পেরে আবারো কোর্ট পাড়ায় আমিরুলের ছত্রছায়ায় বাসা ভাড়া নিয়েছে।এই সিমা তার মহিলা সিন্ডিকেট দিয়ে বিভিন্ন স্থানে মাদকের চালান পাচার করেন। বাস টার্মিনাালের মাদকের ঘাটি চিহ্নিত হয়ে যাবার পরে সটকে পড়ার ধান্দাই আবারো কোটপাড়া পাড়ায় নতুন ঘাটি গাড়ার জন্যে চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ের বিষয়ে পারভেজের সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করেই তার দ্বিতীয় স্ত্রী সিমা আর পারভেজ ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করেন দির্ঘ দিন ধরে,দ্বিতীয় স্ক্রী সিমার হাত ধরেই পারভেজ মাদক ব্যাবসায়ে জড়িয়ে পড়েছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।মুলত পারভেজের দ্বিতীয় স্ত্রী সিমা একটি মহিলা সিন্ডিকেট পরিচালনা করে, তার আন্ডারে কয়েকজন মহিলা পেশাজীবি মাদক পাচারকারী জড়িত। তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পিচ ইয়াবার, কেজি কেজি গাজা ও ফেন্সিডিল ঝিনাইদহে নিয়ে আসে এবং তা পাইকারী দামে মাদকের
সাব- ডিলারদের কাছে বিক্রি করে।
সাংবাদিকদের অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল ও বিভিন্ন প্রোলভন দেখিয়ে সাংবাদিকের ম্যানেজ করতে মরিয়া হয়ে পড়ে। কিন্তু সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে ব্যার্থ হলে ফোন করে গুম-খুনের হুমকি পর্যন্ত দেয়। এই মাদকের গডফাদার দম্পতি পারভেজ ও সিমা ।মাদক ব্যবসা নিয়ে সরাসরি বক্তব্য চাইলে পারভেজের স্ত্রী সিমা বলেন, আমি ঝিনাইদহে দির্ঘ আট বছর ধরে বড় বড় মাদকের চালান নিয়ে আসি, আমাকে কেউ কখনো ধরতে পারেনি, আমি মরে গেলেও এই ব্যবসা ছাড়বো না। জীবনে অনেক কষ্ট করে এই সিন্ডিকেট দাড় করিয়েছি,ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে যতো দুরে যেতে হয় যাবো তবুও মাদক ব্যবসা করবো কেউ পারলে ঠেকাক।ঝিনাইদহের স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, মাদক ব্যাবসায়ী পারভেজ ও তার স্ত্রী সিমার এই দাম্ভিকতার পেছনে কাদের মদদ কাজ করছে? জনমনে প্রশ্নের ঝড় উঠেছে, প্রকাশ্যে মাদকের ব্যবসা করলেও কেনো পারভেজ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মাদকের গডমাদার সিমা এখনো গ্রেফতার হয়নি? ঝিনাইদহের সর্বসাধারণ জনগণের দাবি অনতিবিলম্বে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে এই মাদক ব্যবসায়ী পারভেজ ও সিমা দম্পতিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।ঝিনাইদহ জেলার স্থানীয় জনগণের দাবি উক্ত বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয় অতি-গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঝিনাইদহ শহর মাদক মুক্ত করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবেন।
