ফিরোজ খান–জেলা সংবাদদাতা -নোয়াখালী
নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর বহুল আলোচিত অপ চিকিৎসক,মানিক খোনারের আস্তানা অবশেষে সিলগালা করেছেন, সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইসরাত জাহান চৌধুরী।
সোমবার ১৮ই আগস্ট দুপুর আনুমানিক ১১:৩০ মিনিটে উপজেলার,নদনা ইউনিয়নের হাট গাঁও গ্রামে মানিক খোনারের নিজ বাড়ির সামনে আলোচিত আস্তানা টি স্থায়ি ভাবে সিলগালা করা হয়।
এর আগে জাতীয় দৈনিক সরে জমিন বার্তায় মানিক খোনারের অপ চিকিৎসা বিষয়ক অনুসন্ধানমূলক একটি প্রতিবেদন করা হয়। উক্ত প্রতিবেদনটির পর আরো জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ, বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করা হয়।
জাতীয় দৈনিক সরে জমিন বার্তায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকট, মানিক খোনার তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে মুসলেকায় তার অপচিকিৎসা এবং অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে স্বীকারোক্তি , ভবিষ্যতে এ ধরনের অপ চিকিৎসা এবং খোনারি করবে না মর্মে স্বীকারোক্তি প্রধান করেন। উক্ত মুসলেকা প্রদানের পরেও মানিক খোনার গত বাইশ দিন পর্যন্ত তার অপ চিকিৎসার কার্যক্রম চালিয়ে যান। অবশেষে আজ তার অপচিকিৎসার আস্তানাটি সিলগালা করা হয়।
রূপান্তর বাংলার অনুসন্ধানে উঠে আসে মানিক খোনার কে নোয়াখালী জেলার সাবেক সিভিল সার্জন (ও,এস ডি)ইফতেখার আল মাসুম জুন ২০২৪ হতে, জুন ২০২৫ পর্যন্ত একটি লাইসেন্স প্রধান করেন। উক্ত লাইসেন্সটিতে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ও জেলা সেনেটারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে।
উক্ত লাইসেন্সের বিষয়ে সাবেক সিভিল সার্জন এর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, জি আমি আব্দুল মালেক প্রকাশ (মানিক খোনার) কে লাইসেন্স টি প্রদান করি,খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করার জন্য। পরবর্তীতে সাবেক সিভিল সার্জন মহোদয় এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান উক্ত স্বাক্ষরটি আমার নয়, স্বাক্ষরটি জাল করা হয়েছে। সাবেক নোয়াখালী জেলা সেনেটারী কর্মকর্তা শওকত এর নিকট লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, লাইসেন্সের স্বাক্ষরটি আমার, সিভিল সার্জন মহোদয় ও স্বাক্ষর করেছেন।
প্রশ্ন হল সিভিল সার্জন মহোদয় ও জেলা সেনেটারী কর্মকর্তা একজন কবিরাজ, বনাজি ,ও খোনারকে লাইসেন্স কি দিতে পারেন?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে,এলাকার স্থানীয়রা বলেন একজন সিভিল সার্জন, ও জেলা সেনেটারী কর্মকর্তা অপ চিকিৎসক ও খোনার কে, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এবং চিকিৎসা আইন অমান্য করে কিভাবে বছরের পর বছর এ ধরনের লাইসেন্স দিয়ে যাচ্ছে।
এই লাইসেন্সের ক্ষমতা বলে মানিক খোনার দেদারসে তার অপ চিকিৎসার কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছেন বছরের পর বছর ধরে, জনমনে প্রশ্ন?
সিল গালার বিষয়ে জানতে চাইলে, সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (টি,এস,ও) ইসরাত জাহান বলেন,মানিক খোনারের অবৈধ খোনারী চিকিৎসা আস্তানা টি দীর্ঘদিন পরে হলেও সিলগালা করেছি, ভবিষ্যতে যদি সে এই ধরনের কার্যক্রম চালায়,আমরা আরো কঠিন ব্যবস্থা নেব।