মুক্তাগাছায় লাইসেন্সবিহীন ডায়াগনোস্টিক গুলোতে পরীক্ষার নামে রমরমা বাণিজ্য সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ঃ মুক্তাগাছায় বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনোস্টিক ও ক্লিনিকগুলোতে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রমরমা বাণিজ্য। এতে প্রতিদিন শত শত রোগী প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সঠিক চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিক্ষার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এসব লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক aসেন্টার গুলো। এসব হাসপাতাল ক্লিনিক গুলোর নেই কোন পরিবেশ লাইসেন্স ও ইটিবি লাইসেন্স। প্রতিদিন কোন না কোন হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনোস্টিক নামে শহর ও গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। মাইকিংয়ে নাম মাত্র ৫০ থেকে ১০০ টাকা ডাক্তার ভিজিটের কথা বলে রোগিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। পরে চলে বিভিন্ন পরিক্ষার নামে বড় অংকের টাকা আদায়। দেখা যায় ডাক্তার ভিজিট ৫০ থেকে ১০০ টাকা হলেও পরিক্ষার নামে এক রোগির কাছ থেকে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এতে প্রতিদিন শত শত রোগির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করে নেয়া হচ্ছে।
সূত্রমতে মুক্তাগাছা উপজেলার কালীবাড়ী, চেচুয়া বাজার, খামারের বাজার, বটতলা, কাঠবওলা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকের নেই পরিবেশ ছাড়পত্র, ভিজি সনদ,এক্সরে লাইসেন্স,ইটিবি প্ল্য্যান্ট, ট্রেড লাইসেন্স, ফায়র লাইসেন্স, কলকারখানা লাইসেন্স। তাছাড়া আয়কর, ভ্যাট বিল এর বালাই নেই।সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সার্বক্ষণিক ডাক্তার থাকা আবশ্যক। ৩ জন ডাক্তার ও ৬ জন নার্স বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। সেখানে এনিয়ম গুলো মানা হচ্ছে না।
খুঁজ নিয়ে জানাযায়, মুক্তাগাছার ৩৫/৪০ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার রয়েছে। অধিকাংশেরই লাইসেন্স নেই। কোন কোন প্রতিষ্ঠান ৬/৭ বছর পূর্বে আবেদন করেছিল লাইসেন্স পাওয়ার জন্য। পরে আর খোঁজ-জখবর নেয়নি। ঐ আবেদন দেখিয়েই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে স্বাস্থ ঝুঁকি নিয়ে ডায়াগনোস্টি সেন্টারগুলো সরকারি অনুমোদন না থাক সত্তে¡ও নরমাল ডেলিভারী করানো হচ্ছে অহরহ। সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মুক্তাগাছায় বøাড ব্যাংক নাই। সরকারী ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ও ক্লিনিক গুলোতে বøাড ট্রান্সমিশন করে থাকেন। এব্যাপারে ময়মনসিংহ সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরে জমিনে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহকরা প্রয়োজান। অন্যথায় ক্লিনিক ও ডায়াগোনস্টিক ব্যবসায়ীদের কবল থেকে সাধারণ মানুষ রেহাই পাবে না।