জাহাঙ্গীর, জেলা প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটিতে জেলা পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায়, গরবা ট্যুরিজম ও ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অফ রাঙ্গামাটি (TOAR) এর সমন্বিত উদ্যোগে মাসব্যাপী ট্যুর গাইড এন্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।
রাঙ্গামাটিতে ১ম বারের মতো আজ ২১ই আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু “ট্যুর গাইড এন্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট” এর এই প্রশিক্ষণ ২০২২ সালে শুরু হয়েছিলো রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এবং গরবা ট্যুরিজম ও ট্যুর অপারেটর্স এসোসিয়েশন অফ রাঙামাটি (টোয়ার) এর সমন্বিত উদ্যোগে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে এবারই প্রথম প্রশিক্ষণ কর্মসূচী।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মানীত চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, ট্যুরিষ্ট পুলিশ নিহাদ আদনান তাইয়ান, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান মোসাম্মাৎ হাবিবা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
কোর্স কো-অর্ডিনেটর বাদশা ফয়সাল এর প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের সদস্য হাবিব আজম।
উক্ত প্রশিক্ষণে ২২০ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে বাছাই করে শুধুমা্ত্র ৪০ জনকে সুযোগ করে দেয়া হয় এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার জন্য।
উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, রাঙ্গামাটির ট্যুরিষ্ট বোটগুলোকে জেলা পরিষদের আওতায় আনতে হবে। রাঙ্গামাটিতে ট্যুরিষ্ট আসলে প্রতিটা বোটে একজন করে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ট্যুরিষ্ট গাইড বাধ্যতামুলক করা হবে। এতে করে যেমন একটি কর্মসংস্থান হবে আবার ট্যুরিষ্টরা এসে নিরাপদে সকল স্থানে গুলে আবার ফিরে যেতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেছেন, কাপ্তাই হ্রদ প্রথমে মাছ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে এটি পর্যটন বিকাশে বড় ভূমিকা রাখছে। মানুষ রাঙামাটিতে এসে প্রকৃতি, লেক, ঝর্ণা দেখতে চান এবং খরচ করতে আগ্রহী। কিন্তু আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুত নই। তাই রাঙ্গামাটিকে আরও পর্যটনবান্ধব করে তুলতেই এই প্রশিক্ষণ আয়োজন।
তিনি বলেন, ইউএনডিপির আইএলও থেকে পর্যটকদের জন্য দিক নির্দেশনা মূলক অফিস তৈরি এবং এর বিভিন্ন শাখা তৈরি করা হবে। যেখানে পর্যটকদের জন্য রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রিক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা থাকবে। জেলা পরিষদের সদস্য ও পর্যটন বিষয়ক পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো. হাবীব আজম বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয় যুব সমাজ পর্যটন ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হয়ে উঠবে। যা রাঙামাটির পর্যটন খাতের সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নেবে।
