রূপান্তর বাংলা নিজস্ব সংবাদদাতা–মহান মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের সংবিধান’ শীর্ষক একটি আলোচনাসভা থেকে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন লেখক ও গবেষক কল্লোল মোস্তফা। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ নিন্দা জানান।
কল্লোল মোস্তফা বলেন, “মব সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার বদলে উল্টো মব সন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তিদেরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করে অন্তর্বর্তী সরকার প্রমাণ করল যে সরকার নিজেই মব সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক।”
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাসহ ১৬ জন কেবল একটি আলোচনাসভায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন। কোনো আলোচনা সভায় যাওয়া বা বক্তব্য দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে না।
তার মতে, কোনো আলোচনা সভার বক্তব্য পছন্দ না হলে পাল্টা সভা বা পাল্টা বক্তব্য দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সভায় হামলা চালানো কিংবা আলোচকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা যেমন অগ্রহণযোগ্য, তেমনি সভায় যোগ দেওয়ার কারণে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করাও গ্রহণযোগ্য নয়।
কল্লোল মোস্তফা আরও লিখেছেন, “কারও বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তাকে সেই অভিযোগে স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার করতে হবে। কিন্তু প্রথমে মব লেলিয়ে দিয়ে পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেওয়া কোনো গণতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়া হতে পারে না।”
তিনি মনে করেন, ইউনূস সরকারের এই পদক্ষেপ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং স্বৈরাচারী আচরণের উদাহরণ হয়ে থাকবে।