ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার সোনারগাঁও বাজারে বৈধ জমি ও দোকান মালিকের নিকট থেকে এলকায় ত্রাস সৃষ্টি করে ও জনমনে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি ও দোকান ঘর ভাংচুর, লুট ও জমি জবরদখল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারী সোনারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাই তালুকদারের পুত্র মাসুদ রানা। গত ৩১ আগষ্ট বিকেলে মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান। মাসুদ রানা জানান তার পৈত্রিক সূত্রে ও ক্রয় সূত্রের পাওয়া সোনারগাঁও মৌজার বিআরএস খতিয়ান নং ১৯০, দাগ নং ৩৪৭৫, ২৫৭৬ (পুকুর ও পুকুর পাড়) এ মোট ৪ শতাংশ জমি। উক্ত জমির মধ্যে তার অংশ ২ শতাংশ জমিতে প্রায় ২০ বছর যাবত দোকান ঘর উঠিয়ে ঘর ভাড়া দিয়ে ভোগ দখল করে আসছিল। উক্ত পুকুর ও পুকুর পাড়ের অন্যান্য অংশের জমির মালিকগণ স্থানীয় দিঘীরপাড় তালীমুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দিলেও মাসুদ রানা বা তার পিতা আব্দুল হাই দেন নাই। মাসুদ রানা নিজে টিনসেড ঘর উঠিয়ে ভাড়া দিয়ে ভোগ দখল করে আসছিল। গত ২৫/০৭/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল ৩টায় স্থানীয় খাদিমুল হাসান রিফাত, রফিকুল ইসলাম তালুকদার, সিরাজ, দুলাল বিদেশী, সুমন গং সহ ৭০/৭৫ জনের সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে জনমনে ভয়-ভীতি দেখিয়ে দোকান ঘর ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নেয়। তাদের ত্রাসের সৃষ্টির কারণে এলাকায় কেও এগিয়ে আসেনি। এ ব্যাপারে ঐ দিনই মাসুদ রানা মুক্তাগাছা থানায় মামলা করতে গেলে এলাকা থেকে তাকে মোবাইল ফোনে আপোষের কথা বলে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয়। বাড়িতে যাওয়ার পর তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে গৃহবন্ধী করে রাখে এবং রাতেই দোকান ঘরের জায়গায় ঘর উঠাতে শুরু করে। তাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি। সার্বক্ষণিক তার পাহাড়ায় লোক রাখে যাতে বাড়ি থেকে কোন দিকে যেতে না পারে। গত ৩১ আগষ্ট সন্ধ্যায় সু-কৌশলে বাড়ি থেকে মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ ঘটনা জানান। গত কাল সোমবার বিকেলে সোনারগাঁও বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাসুদ রানার জমিতে ২টি হাফ বিল্ডিং তৈরির কাজ চলছে। নির্মানাধীন বিল্ডিং এর সামনে দিঘীরপাড় তালীমুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার নামে সাইনবোর্ড দেওয়া আছে। এ সময় স্থানীয় উপস্থিত বাহার উদ্দিনের পুত্র সালাম, সাহেদ আলী মন্ডলের পুত্র আবুল হোসেন, মৃত সানাউল্লাহ তালুকদারের পুত্র ওমর তালুকদার সহ বেশ কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা জানান, মাসুদ রানা প্রায় ২০ বছর যাবত এ জমিতে ঘর উঠিয়ে ভাড়া দিয়ে আসছে। স্থানীয় রফিকুল তালুকদারের নেতৃত্বে তার দোকান ভাংচুর ও মালামাল লুট করা হয়েছে। প্রকৃত জমির মালিক মাসুদ রানা। তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। যারা এ কাজ করেছে তারা তার নিজের গোষ্ঠীর লোকজনই।
মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবু এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, পুকুর ও পুকুর পাড়ে ১.৫৪ একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে মাসুদ রানা ২ শতাংশের মালিক। অন্যান্য মালিকরা মাদ্রাসার নামে জমি দিয়েছে। তবে মাসুদ রানাদের জমি আছে। তারা তাদের জমি বুঝে নিতে পারে। আমাদের কোন আপত্তি নাই। ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা এড়িয়ে যান। তবে তাকে গৃহবন্ধী করে রাখা হয়েছে এ কথা সঠিক নয় বলে তিনি দাবী করেন।