নিজস্ব প্রতিবেদক রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম |
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫ নম্বর লালানগর ইউনিয়নের আবিত পাড়া গ্রামের রাজাবাবন রাজারহাট এলাকার এক ব্যক্তি জসিম উদ্দিন ওরফে জসিমের বিরুদ্ধে ওঠেছে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ। বালু উত্তোলনের নামে পরিবেশ ধ্বংস, ভুয়া মিডিয়া পরিচয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতারণা, স্বর্ণ চোরাচালান এবং ইয়াবা ব্যবসা—প্রতিটি অভিযোগই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ইছামতি নদী দখল করে বালু উত্তোলন, পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি
স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগ অনুযায়ী, পারুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারহাটের পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে প্রবাহিত ইছামতি নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি চক্র, যার মূল হোতা হিসেবে জসিমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই উত্তোলনের ফলে নদীর আশপাশের বসতভিটা ও কৃষিজমি ভাঙনের মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও, রহস্যজনক কারণে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দুদকে অভিযোগ, তারপর ভুয়া লোগো ব্যবহার করে সংবাদ সম্মেলন
এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করেন আজগর আলী মানিক নামের এক স্থানীয় সচেতন ব্যক্তি। দুদকে অভিযোগ করার পরপরই জসিম তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ধামাচাপা দিতে, জনপ্রিয় অনলাইন চ্যানেল সিটিজি নিউজ (রেজিঃ নং ২৭৬) এর নাম ও লোগো নকল করে ‘সিটিজি ক্রাইম নিউজ’ নাম দিয়ে ভুয়া সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে নানা ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
মিডিয়ায় জসিমের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রতিবেদন
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, জসিমের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ১০টি প্রিন্ট পত্রিকায়, ৫টি আইপি টিভিতে এবং ৫০টির বেশি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে তার জড়িত থাকা অপরাধসমূহের বিশদ বর্ণনা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এমনকি স্বর্ণ চোরাচালান ও মাদক (ইয়াবা) ব্যবসার সুনির্দিষ্ট অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সে এসব অপকর্ম চালিয়ে এলেও প্রশাসনের একটি চক্র তাকে আড়াল করে রাখছে।
২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, প্রতারণা ও টাউট চক্রের সদস্য
অভিযোগ রয়েছে, এনাম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জসিম ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে ‘বালুর ব্যবসার পার্টনার’ বানান। পরে সেই টাকা আত্মসাৎ করে এনামের সঙ্গে প্রতারণা করেন তিনি। এমন বহুজনকে বালুর ব্যবসার ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, জসিম মূলত একজন অভিনব প্রতারক, সিনিয়র টাউট এবং পেশাদার অপরাধী। সুযোগ বুঝে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করতে বিভিন্ন মিডিয়া হাউজের নাম ও লোগো ভুয়া ভাবে ব্যবহার করে। তার পেছনে একটি সুসংগঠিত প্রভাবশালী মহল রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে, জসিম পলাতক
তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে নজরদারিতে রেখেছে। পুলিশ জানিয়েছে, জসিম বর্তমানে পলাতক রয়েছেন এবং তাকে খুঁজে বের করতে মাঠে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
জনগণের প্রতি আহ্বান
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—জসিমকে কোথাও দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ থানায় বা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে তিনি সম্মেলনে যে বালুর ষ্টাফ দেখানো হয়েছে। সরকার কাহাকে বালু বিক্রি করার জন্য ডকুমেন্ট দেয় না কত বড় মিথ্যাবাদী। । উনি সৌদি আরব থেকে কেন চলে আসছেন সেটা আর বলে নাই। প্রমাণ দিতে পারে নাই। এনামের সাথে যে মেয়েটা আছে বাসা নিয়ে রাখছে সেই মেয়েটা কি পরিস্থিতি এখন। সেটা সম্পর্কে কিছু বলা নাই। এবং খুব শিগগিরই তার অপকর্মের জন্য তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
