পটুয়াখালীর দুমকিতে চেয়ারম্যান ট্রাভেলস বাসের ধাক্কায় আহত ৪, বেপরোয়া গতির অভিযোগ

  •  পটুয়াখালী সংবাদদাতা —পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে চেয়ারম্যান ট্রাভেলস পরিবহনের একটি বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশার চারজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার রাজাখালী বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
    ​আহতরা হলেন- আজিজ আহমেদ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মমিন হোসেন, শহীদ জিয়া প্রজন্ম দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাজ হাওলাদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. ফাহাদ মেহেদী (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দুমকি উপজেলা নবীন দল) এবং তাদের সঙ্গে থাকা আরও একজন স্থানীয় ব্যক্তি। গুরুতর আহত ফাহাদ মেহেদীকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
    ​স্থানীয়দের অভিযোগ ও ক্ষোভ
    ​প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চেয়ারম্যান ট্রাভেলসের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশাটিকে রাস্তার পাশে ধাক্কা দেয়।

এতে অটোরিকশার যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। এই দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান ট্রাভেলসের বাসগুলো প্রায়ই অতিরিক্ত গতিতে ও বেপরোয়াভাবে চলাচল করে, যার ফলে দুমকিতে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে।
​স্থানীয়রা আরও জানান, এই রুটে চলাচলকারী কিংস পরিবহনও ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অপ্রশিক্ষিত চালকের কারণে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।

প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাবে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
​ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য শাহরুখ হোসেন বলেন, “প্রশিক্ষণহীন চালকের হাতে চেয়ারম্যান পরিবহন চলছে। আমিও কিছুদিন আগে এই পরিবহনের বেপরোয়া গতির কারণে দুমকি থানা এলাকায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলাম। আমরা আর এই পরিবহনটি দুমকি-বাউফল মহাসড়কে দেখতে চাই না।”

​উল্লেখ্য, গত ২৫শে আগস্ট বাউফলে ডা. ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজের সামনে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছিলেন। ঢাকা-বরিশাল এবং বাউফল রুটে পরিবহনটির বেপরোয়া গতির কারণে অন্তত ১৫টি মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

দুমকি-বগা-বাউফল রুটেও এটি পাঁচবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, যেখানে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এরপরও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

​দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন দৈনিক রূপান্তর বাংলা -কে জানান, তারা চেয়ারম্যান পরিবহনের দুর্ঘটনার বিষয়ে শুনেছেন, তবে এ পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তিনি বলেন, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি বাড়ালে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে আসবে।