রাঙ্গামাটিতে অবৈধ চোরাকারবারি বিএনপির দালাল নেতাদের খুঁটির জোর কোথায়-সিনিয়র নেতারা চুপ কেন??

রূপান্তর বাংলা স্টাফ রিপোর্টার–রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বেশ কিছু বিএনপির নেতা কর্মী আছেন যাদের ধারায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে, জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের বিষয়ে দলীয় ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করায় জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে –স্থানীয় সাধারণ নেতা কর্মীরা বলেন জেলা বিএনপির কতিপয় সিনিয়র নেতা কর্মী ওদের কাছ থেকে
অবৈধ্য সুবিধা নিয়ে চুপ হয়ে আছেন,যদি তাই না হতো তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল না কেন?? অবৈধ ব্যবসায়ী দালাল নেতাদের কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ভড়াডুবি হওয়ার সম্ভাবনা আছে/
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিগত সরকারের নেতাকর্মীদের সাথে হাতাহাত মিলিয়ে বিএনপির বেশ কিছু নেতা কর্মী অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে ছিল -তারা যেসব ব্যবসা চালিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গাছ, মাছ, সিগারেট, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, এমনকি অবৈধ অস্ত্র বিক্রির ব্যবসার কথাও সূত্রে প্রকাশ পায়–জেলার শীর্ষ অবৈধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রাজস্থনী উপজেলার কয়েকজন বাসিন্দা – রাজস্থলী সদরে হাসপাতালের পাশেই বসবাসরত সুলেমান মিয়া সাবেক মেম্বার ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তার রয়েছে বিশাল অবৈধ এক সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট বাহিনী -তার ডানহাত হিসেবে আছেন ৫ নং ইসলামপুর এমদাদুল হক মিলন মেম্বার তারও রয়েছে এক অবৈধ সিন্ডিকেট সন্ত্রাসী বাহিনী। এরা বিগত দিনে বিগত সরকারের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অবৈধ ব্যবসা করে নিজের আখের গুছিয়েছেন এরা তখন বিএনপির কোন দলিয় নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখেননি এবং দলীয় কোন কার্যক্রমে তেমন অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি -তবে তারা বিগত সরকারের উপজেলার শীর্ষ নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে ও সহযোগিতা করতে দেখা গিয়েছে – এমনকি বিগত সরকারের নির্বাচনে প্রচার প্রচারনাই অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে – দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্তী কার্যক্রম পরিচালনা করলেও জেলার নেতারা চুপ থাকায় জাতীয় নেতাগণ কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
বিগত স্বৈরাচারী সরকার পতনের পরপরেই রাজস্থলীতে এই অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠে রাজস্থলীর প্রশাসন সহ সমস্ত অবৈধ চোরাকারবারির ব্যবসা একতরফা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়, তারা হয়ে গেছেন অবৈধ সাম্রাজ্যের বাদশা। কিছুদিন আগে তাদেরই সিন্ডিকেটের একজন অবৈধ অস্ত্র বিক্রি করার সময় স্থানীয় সেনাবাহিনী হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেয় বর্তমান সে জেলহাজতে আছে —
জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতা কর্মীগণ রাজস্হলীতে দলীয় কার্যক্রমের জন্য যোগাযোগ বা যাতায়াত করতে চাহিলে সবকিছুই তাদের মাধ্যমে করতে চান বলে সুত্রে প্রকাশ। বিএনপির অবৈধ ব্যবসায়ী নেতাকর্মীদের টাকা পয়সার কাছে জেলার নেতা কর্মীরা আজ অসহায় – সূত্র প্রকাশ বিগত সরকারের আশীর্বাদ পাওয়া বিএনপির অবৈধ্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মোটা অংকের টাকা দিয়ে-ক্রয় করে রেখেছেন-তাইতো জেলা কমিটি নীরব ভূমিকা পালন করছেন–। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন – বিএনপি শহীদ জিয়ার আদর্শের দল বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী বেগম-খালেদা জিয়ার, সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায়, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি কোন অন্যায় কে আমরা বরদাস করব না।
তাদের বিরুদ্ধে কেউ আমাদের নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়নি যদি কেউ অভিযোগ দেয়, যদি সে অপরাধী হয়ে থাকে -দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে-
বিস্তারিত রুপান্তর বাংলা পত্রিকার পাতায়
–জেএসকেপি –(জেলা বিএনপির সভাপতির বক্তব্য নিয়েছেন রূপান্তর বাংলা)