রূপান্তর বাংলা স্টাফ রিপোর্টার– কথায় আছে দুষ্টু গোয়ালের চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো- এক দুজন ব্যক্তির জন্য কোন প্রতিষ্ঠানের বদনাম হোক এটা কেউ চায়না -মেহেরা আফরোজ গার্মেন্টসে হাজার হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে -সেই গার্মেন্টসে দুজন ব্যক্তি নীরব ঘাতক ভাইরাসের মত কাজ করে যাচ্ছে —দেশের আনাচে কানাচে নারী লোভী প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে অনেক সহজ সরল মেয়ের জীবন শেষ, অনেকেই সামাজিক পারিবারিক ভাবে লাঞ্ছিত হয়ে কেউ কেউ আবার ইজ্জত হারিয়ে নীরবে চোখের পানি ফেলে। তেমনি এক নারী লোভী বহুরূপী পুরুষের অন্যতম একজন হলেন-
মোঃ কাউসার রাসেল মাতা-দেলোয়ারা বেগম- বাবা-আবু আহম্মদ ঠিকানা – শুভপুর ইউনিয়নের জয়পুর সরোজেনি উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের আলী ব্যাপারীর বাড়ি
ডাকঘর মহারাজগঞ্জ পোস্ট কোড ৩৯১১ ছাগলনাইয়া ফেনী — জন্ম সাল ১১ নভেম্বর ১৯৯৭ – বর্তমান কর্মস্থল ঠিকানা এশিয়ান গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম অলংকার সাগরিকা মেহের গার্মেন্টস লিমিটেড তৃতীয় তলা -ফিনিশিং ইন চার্জ হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছেন!
মুখোশধারী লম্পট প্রতারক কাউসার রাসেল ধরি মাছ না ছই পানি এমন এক ব্যক্তি।
রাসেলের বাবা শারীরিকভাবে অসুস্থ–তিন বোনের এক ভাই, বাড়ির ভিটা ছাড়া তাদের আর কিছুই নাই সংসারে অল্প জমানো টাকা পয়সা যা ছিল তা তিন বোনের বিয়েতে খরচ হয়ে যায় রাসেলের মা দেলোয়ারা বেগম অনেক কষ্টের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রাসেলকে বড় করেছেন। ছোটকাল থেকেই রাসেল ছিল খুব চঞ্চল প্রকৃতির লোক, টেনেটুনে কোনভাবে শিক্ষাজীবন শেষ করেন,রাসেল এর বাবার আয় উন্নতি নাই শারীরিকভাবে অসুস্থ অভাবের সংসার চালাতে রাসেল ও রাসেলের মা দিশাহারা হয়ে যান,
এলাকার বকাটে ছেলেদের সঙ্গে তার ছিল আড্ডা, ছেলের বিভিন্ন অপকর্ম দেখে মায়ের মাথায় আসে চিন্তা, কিভাবে কি করবে কিভাবে সংসার চলবে ইত্যাদি। মায়ের এহনো অবস্থা দেখে পাষণ্ড প্রতারক রাসেলের একটু চিন্তা হয় কিভাবে সংসার চলবে তাই সে সিদ্ধান্ত নেই বাড়ি থেকে চট্টগ্রামে এসে চাকরী করবে এবং মায়ের অভাব অনটনের সংসারের দুঃখ ঘুছাবে-সে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি সন্ধান করতে শুরু করলো হঠাৎ করেই তার মেহের গার্মেন্টসে তার চাকরি হল, জানাজায় মেহের গার্মেন্টসের কর্তৃপক্ষ খুবই দয়ালু রাসেল এর পারিবারিক অবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে তাকে চাকরি দেন। লাইন কোয়ালিটি থেকে তার চাকরি শুরু বর্তমান ফিনিশিং ইন চার্জ হিসাবে আছেন -মেহের গার্মেন্টসে প্রায় ৮ থেকে ৯ বছর ধরে সে চাকরি করে যাচ্ছেন-এই দীর্ঘ বছরে তার সাথে এবং তার অধীনস্থ অনেক মেয়ে চাকরি করেছে-কাউসার আহমেদ রাসেল একজন বুদ্ধিমান সুদর্শন চালাক পুরুষ, অনেক মেয়ের সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে প্রেমের সখ্যতা গড়ে তোলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মেয়ে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন যে কাউসার এর প্রতারনার শিকার হয়ে গার্মেন্টস থেকে চলে আসছি, তারা বলেন কাউসারের বিরুদ্ধে যদি আমরা কোন অভিযোগ দেই যথাযথ কর্তৃপক্ষ কানে নেয় না তাদের মধ্যে থেকে পিন্টু চাকমা নামের একজন অফিসার আছেন সে সর্বদাই কাউসারকে সেল্টার দেন, এবং তার পক্ষে অনেক সাফাই গেয়ে যান -অনেক মেয়েদেরকে পিন্টু চাকমা মারতে উদ্যোক্ত হন ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন, তার ভয়ে অনেকেই মুখ খোলার সাহস পায় না, এই দুজন ব্যক্তির জন্য মেহের গার্মেন্টসের ইমেজ আজ ধ্বংসের পথে।
এদিকে জানা যায় রাসেল চাকরি করে যে টাকা পায় তা থেকে অল্প কিছু টাকা বাড়িতে দিলেও বাকি সব টাকা চট্টগ্রামে আনন্দ উল্লাসে খরচ করে, তার দেওয়া টাকায় মা দেলোরা বেগমের সংসার অসুস্থ বাবার চিকিৎসার খরচ সঠিকভাবে চালাতে না পারার কারণে রাসেলের অসুস্থ বাবা আবু আহম্মদ ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে দারোয়ানের চাকরি নেন, এবং বর্তমানে ঢাকায় চাকরিরত অবস্থায় আছেন। ছেলের বিষয়ে তার বাবার নিকট জানতে চাইলে বাবা বলেন -ছেলেকে নিয়ে অনেক গর্ব করতাম, আমার ছেলের চরিত্র যে এত খারাপ হবে আমি কল্পনাও করতে পারি নাই -দীর্ঘদিন ধরে সে চাকরি করে তেমন টাকা পয়সা দেয় না তিনটা মেয়ে বিয়ে দিয়েছি খুব কষ্ট করে, আপনি বলুন ছেলে যদি আমার দিকে তাকাই তো, (টাকা পয়সা দিত) এই বুড়া বয়সে কি আমাকে চাকরি করতে হয় /