রুপান্তর বাংলা নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাজনৈতিক নারী কর্মীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন ও হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জামিন পাওয়ার পরও নতুন মামলায় জড়িয়ে তাদের আটকে রাখা এবং প্রতিবাদ করলে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের সহকর্মী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা দাবি করেছেন।
অভিযোগকারীরা বলছেন, কাশিমপুর মহিলা কারাগার বর্তমানে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নারী কর্মীদের জন্য একটি আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হওয়া নারী কর্মীরা আদালত থেকে সকল মামলায় জামিন পেলেও, কারাগার থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে তাদের নতুন কোনো মামলায় “শ্যোন অ্যারেস্ট” দেখিয়ে মুক্তি আটকে দেওয়া হচ্ছে। দিনের পর দিন, এমনকি মাসের পর মাস ধরে এই প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সম্প্রতি এই হয়রানির বিষয়ে একজন নারী বন্দী জেল সুপারের সাথে কথা বলতে গেলে তাকে কারারক্ষী দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে দাবি করা হয়। এই ঘটনার পর নারী রাজবন্দীরা প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ অনুযায়ী, রাতের আঁধারে কারারক্ষী এবং সাধারণ বন্দী দিয়ে প্রতিবাদকারী নারী রাজবন্দীদের ওপর ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।
এই ঘটনার জের ধরে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলে কারাগার কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকজন নারী বন্দীকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে স্থানান্তর করেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার সকালে বেনজির হোসেন নিশি ও তামান্না জেসমিন রিভাসহ ৮ থেকে ১০ জন বন্দীকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং আরও ৮ থেকে ১০ জনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অনেকেই নারী রাজবন্দীদের ওপর এমন আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আন্দোলনকারীরা অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি এবং অন্যায়ভাবে আটক সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তাদের বক্তব্য পাওয়া গেলে তা প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে–জেএসকেপি