খাগড়াছড়িতে ৩০ কোটি টাকার টেন্ডার কেলেঙ্কারি: ওয়াদুদ ভূইয়ার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ

রুপান্তর বাংলা জেলা সংবাদদাতা—খাগড়াছড়িতে আবারও টেন্ডারবাজির অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা ওয়াদুদ ভূইয়ার বিরুদ্ধে। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

“১০% নিম্ন মানের দরপত্র মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অংশগ্রহণ থাকলে ও কাউকেই অংশগ্রহণ করতে দেয়নি। ওয়াদুদ ভূইয়া তার নিজস্ব নিয়ন্ত্রণাধীন খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগে যোগসাজশে টেন্ডার করছে, যা সার্বিকভাবে অবৈধ” — এইরকম অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরবর্তীতে তিনি প্রতিটি কাজ ১৫% হারে বিভিন্ন ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করেন। এতে তিনি প্রায় ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওয়াদুদ ভূইয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ট্রাক্টর ড্রাইভার মোস্তফা ও বেলাল গং সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করেন। মোস্তফা আজ টেন্ডার ব্যবসা করে শত কোটি টাকার মালিকে পরিণত হয়েছেন।

ঠিকাদার নুর আলম জানান, “এই টেন্ডারকে কেন্দ্র করে আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। ওয়াদুদ ভূইয়া ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না। মুখ খুললেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।”

ঠিকাদার আজাদ বলেন: পাবলিক হেলথ বিষয় নিয়ে আমার বোনের জামাই কে বিনাকারনে প্রচন্ড আঘাত করে রড,লাঠি দিয়ে অনেক দিন চট্টগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।ওয়াদুদ ভুইয়া সন্ত্রাসীদের কারনে আজকে খাগড়াছড়ি বাসী খুবই ভয়ের মাধ্যমে দিনপার করছে। যারা আমার বোনের জামাই কে আঘাত করেছে একদিন তাদের কে জবাব দিব।

স্থানীয়রা বলছেন, ওয়াদুদ ভূইয়ার দীর্ঘদিনের চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং টেন্ডারবাজির কারণে খাগড়াছড়ির ব্যবসায়ী মহল
আতঙ্কের মধ্যে আছে।
তারা ওয়াদুদ ভূইয়া, মোস্তফা ও বেলাল গংয়ের হাত থেকে মুক্তি চান। জেএসকেপি