চট্টগ্রাম থেকে জাহাঙ্গীর হোসাইন—২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সারাদিন ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বী “হিন্দুদের” শারদীয় দুর্গোৎসব।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বিজয়া দশমী, বিহিত পূজা এবং প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
দিনের শুরুতেই কখনো বৃষ্টি কখনো রোদ কখনো শান্ত পরিবেশ। এমন-ই বৈরী আবহাওয়ার প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে, অবনত মস্তকে প্রতিমার চরণে সিঁদুর লাগিয়ে ভক্তি উৎসর্গ করেন সনাতনী ভক্তরা।
এছাড়া দেবীমাতার আশীর্বাদ পেতে প্রতিমার সামনে নেচে-গেয়ে উলুধ্বনি দিয়ে একে-অপরকে সিঁদুর লাগিয়ে মহানন্দে মেতেছিল সনাতনীরা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবমুখর পরিবেশ দেখে
প্রধান অতিথি চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন;
আমরা দেশের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরকে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিা করতে চাই। শান্তি-শৃঙ্খলার রোল মডেল হিসেবে
সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
এসময় তিনি আরও বলেন; এই শহরে প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীগণ যেন, তাঁদের স্বীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান সগৌরবে উদযাপন করতে পারেন সেবিষয়ে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখতে বদ্ধপরিকর।
এখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান বৌদ্ধ সহ সকল ধর্মীয় সম্প্রদায় উপসম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে উৎসব পালন করছে ভবিষ্যতেও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না বলে তিনি আশাব্যক্ত করেন।
এসময় তিনি আরও বলেন; আমরা দেশের সুনাগরিক হিসাবে, সকলে সকলার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম শহর একটি শান্তির নগরীতে পরিণত হবে। আর এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা দরকার। আর এমন মহতী উদ্যোগের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এসময় তিনি আরও বলেন; ভবিষ্যতেও আমরা সমস্ত সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে একটি আধুনিক সুন্দর নগরায়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই।
পূজা উপলক্ষে নগরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান, আইনশৃঙ্খলার বাড়তি সুবিধা, বিদ্যুৎ ও আলোকসজ্জার সংস্কার, রাস্তা সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সিটি কর্পোরেশন সম্পন্ন করেছে।
মেয়র হিসেবে আমি চট্টগ্রাম শহরকে তিনি সব ধর্মের মানুষের জন্য একটা নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়তে চান।
এসময় যারা উপস্থিত ছিলেন; বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক অর্পন কান্তি ব্যানার্জী, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, টুরিস্ট পুলিশ ইনচার্জ এস এম কামরুজ্জামান।
এছাড়া সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ বাবু, সহ-সভাপতি প্রদীপ শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রতন চৌধুরী, বিপ্লব সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক অঞ্জন দত্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রত্নাকর দাস টুনু, শ্রী প্রকাশ দাস অসিত, হিল্লোল সেন প্রমুখ।