গাজীপুরে চুরি-ছিনতাই বেড়েই চলছে: দুই সাংবাদিকের মোটরসাইকেল লুট

স্টাফ রিপোর্টার আলমগীর হোসেন—-গাজীপুর মহানগরে দিন দিন বেড়ে চলেছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। গত কয়েক মাসে একই এলাকায় দুই সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ পর্যন্ত পুলিশ এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং ভোরে। সফিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. মহসিন মোল্লা (৫০) নামের এক ব্যক্তি শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফেরার পথে চান্দনা জয়দেবপুরগামী সড়কের ফ্লাইওভারের মাথায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে।

ধারালো অস্ত্রের মুখে ফেলে তারা মহসিন মোল্লাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার মালিকানাধীন ইয়ামাহা এফ-জেড ভি-৩ মডেলের মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো-ল ২০-৭৭৫৭), নগদ ৩১ হাজার টাকা, একটি স্যামসাং এফ-২৩ মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।

ভুক্তভোগী মহসিন মোল্লা বাসন থানায় এজাহার দায়ের করলেও পুলিশ এখনো আসামিদের শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অন্যদিকে, এর আগে ২৯ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে একই এলাকায় মোটরসাইকেল চুরির শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুভি বাংলা টেলিভিশনের কালিয়াকৈর উপজেলা প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন।

তিনি জানান, জরুরি কাজে গাজীপুর চৌরাস্তার রহমান শপিংমল এলাকায় যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার ব্যবহৃত লনসিন জিপি-১৬৫ মডেলের কালো রঙের মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো-ল ৬০-৭৬০৯) অজ্ঞাত চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় তিনি বাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এখনো তার মোটরসাইকেলও উদ্ধার হয়নি।

আলমগীর হোসেন বলেন,
“এটি শুধুমাত্র একটি বাইক চুরি নয়, বরং এটি নাগরিক নিরাপত্তার বড় সংকেত। সাংবাদিক হয়েও আমি নিরাপদ নই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন এক বিবৃতিতে ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন,
“চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, অভিযোগগুলো তদন্তাধীন রয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের ঘটনা গাজীপুর মহানগরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।