রূপান্তর বাংলা নিজস্ব প্রতিবেদক:–কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার “বিশেষ সংবাদদাতা” পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় শাহীন সিকদার চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভুয়া সংবাদ প্রকাশ ও ব্ল্যাকমেইলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী হাবিব উল্লাহ রানা এবং স্থানীয় সচেতন মহল এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব ভান্ডারিয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল হাই সিকদারের ছেলে শাহীন রিয়াজ সিকদার সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করে কথিতভাবে “সংবাদপত্রের প্রতিনিধি” পরিচয়ে একটি ব্ল্যাকমেইলিং চক্র পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি দিঘীনালা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী হাবিব উল্লাহ রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিউজ তৈরি করে শাহীন সিকদার তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
কাজী হাবিব উল্লাহ রানা বলেন,
“শাহীন সিকদার সরাসরি আমাকে ফোন করে টাকা দাবি করেছে। বলেছে, টাকা না দিলে আমার বিরুদ্ধে নেতিবাচক নিউজ প্রকাশ করবে। আমার কাছে কল রেকর্ডসহ সব প্রমাণ রয়েছে, এবং আমি শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।”
এ ঘটনায় দিঘীনালা উপজেলা বিএনপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়— শাহীন সিকদার শুধু কাজী হাবিব উল্লাহ রানা নয়, বিএনপির আরও বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মীর কাছ থেকেও চাঁদা দাবি করেছে। কেউ টাকা না দিলে তাদের নাম-ছবি বদলে একই নিউজ বিভিন্ন ভুয়া অনলাইন পোর্টালে ছড়িয়ে দিয়েছে। দল এ ধরনের হলুদ সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
শাহীন সিকদারের এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
“আমাদের এলাকায় শাহীন সিকদারকে সবাই দালাল, ধান্দাবাজ হিসেবে চেনে। সে বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকে এবং তার সঙ্গে একটি গ্রুপ কাজ করে, যারা ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজিতে জড়িত।”
আরেকজন জানান, “আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অনেক মানুষকে হয়রানি করেছে। পরে নতুন সরকার আসার পর নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক সাজিয়ে মাঠে নামে।”
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, শাহীন সিকদারের মতো তথাকথিত সাংবাদিকদের কারণে পেশাদার সাংবাদিকরা আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন,
“যারা সংবাদিকতা পেশাকে ঢাল বানিয়ে অপরাধমূলক কাজ করে, তারা শুধু মানুষকেই নয়, পুরো দেশ ও সাংবাদিক সমাজকেই কলঙ্কিত করছে।”
সচেতন নাগরিক ও সাংবাদিক নেতারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন— সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে যারা প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। একই সঙ্গে সংবাদপেশায় নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সূত্রে প্রকাশ এ গ্রুপের মূল হোতা হলেন কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার আড্ডা বাজারের অন্তর্গত পূর্বপাড়া হাজী বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জনি
মাতা ভেলুয়া খানম পিতা- আবু জহির-
এই বিষয়ে শাহীন সিকদারের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে খুদেবার্তা সহ একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। চলবে