মুক্তাগাছায় স্বামী-স্ত্রীর প্রতারণার স্বীকার জমি ক্রেতা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি; ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় স্বামী-স্ত্রীর কাছ থেকে জমি কিনে প্রতারণার স্বীকার হয়েছে নিরীহ এক ক্রেতা। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন ভাবে নাজে হাল করছে ক্রেতা রবিউল আলমকে। উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিক্রেতা আক্তারা খাতুন তার স্বামী আব্বাস আলীর যোগসাজসে রবিউলের উপর একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে মানষিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
বিবরণে জানা যায়, উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের পুত্র রবিউল আলম মিলন একই ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী আক্তারা খাতুনের নিকট থেকে ৫শতাংশ জমিসহ জমির উপর নির্মিত ৫তলা ফাউন্ডেশনের ৩ তলা কমপ্লিট বাড়ি ৬২ লাখ টাকা মূল্য ধার্য করে বায়নাপত্র মূলে ক্রয় করে। কুড়িপাড়া মৌজার বিআরএস খতিয়ান ৯১, বিআরএস দাগ নং ২৬৪, শ্রেণি কান্দা, জমির পরিমাণ ৫ শতাংশ। উক্ত জমির চৌহদ্দি উল্লেখ করা হয়েছে উত্তরে মফিজুল ইসলাম, দক্ষিণে মোফাজ্জল মুন্সি, পশ্চিমে নিজ এবং পূর্বে সরকারি পাকারাস্তা।
উক্ত জমি প্রথমত আব্বাস আলী ৩শতাংশ ও তার স্ত্রী আক্তারা খাতুনের নামে ২শতাংশ মালিকানা ছিল। গত ০৩/০৬/২০২৪ ইং তরিখ আব্বাস আলী তার স্ত্রীকে ৩শতাংশ দলিল মূলে সাবকাওলা করে দেন। পরে আক্তারা খাতুন ৫শতাংশ জমি জমা-খারিজ মূলে নিজে মালিক হয়ে যান।
ওই জমি কেশবপুর গ্রামের রবিউল আলমের কাছে বিক্রির প্রস্তাব দিলে উভয় পক্ষ ৬২লাখ টাকায় ক্রয়-বিক্রয়ে রাজি হয়। পরবর্তীতে ২০/০৬/২০২৪ ইং তারিখে একটি অঙ্গীকার নামা মূলে ৫শতাংশ জমির উপর নির্মিত ৫তলা ফাউন্ডেশনের ৩ তলা কমপ্লিট বাড়িটি বুঝিয়ে দেন এবং ২৫/০৬/২০২৪ ইং তারিখ রবিউল আলমকে এফিডেভিট মূলে বিক্রির বায়নাপত্র সম্পাদন করেদেন আক্তারা খাতুন। বায়নাপত্রে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬২ লাখ টাকা। রবিউলের কাছ থেকে পূবালী ব্যাংক মুক্তাগাছা শাখার মাধ্যমে ১৯লাখসহ নগদ ৪০ টাকা, এবং পরবর্তীতে নগদ ও ৪লাখ গ্রহন করে আক্তারা খাতুন।
রবিউলের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর আক্তারা খাতুন ও তার স্বামী আব্বাস আলী নতুন ফন্দি এটে জমি না দেওয়ার জন্য অতিকৌশলে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারায় দখল পূনরোদ্ধারের মামলা করেন।
মামলায় বায়নাপত্র স্ট্যাম্প, জমি ও স্থাপনা উদ্ধারের জন্য আবেদন করা হয়। উক্ত মামলাটি পাকাপোক্ত করার জন্য আক্তারা খাতুন পরবর্তীতে ১০৭ ও ১১৭ ধারায় আরও একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ৭৬৩/২০২৫।
এব্যাপারে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আক্তারা খাতুন অতি ধুর্ত মহিলা। জমি বিক্রি করে রবিউলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার পর প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উল্টো রবিউলের বিরুদ্ধে জমি উদ্ধারের মামলা করেছে।
উক্ত ঘটনার পর আক্তারা খাতুনের স্বামী প্রবাসী আব্বাস আলী প্রায়ই রবিউল আলম মিলনকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশ সহ তার বড় ধরনের ক্ষতিকরার হুমকি দিচ্ছেন। যেকোন সময় রবিউল আলম মিলনের প্রাণনাশসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে আক্তারা খাতুন ও তার স্বামী আব্বাস আলী। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রবিউল আলম।