চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডে মা মেয়ের ভয়ঙ্কর মাদক সিন্ডিকেট

মো: শাহাদাত হোসেন নোমান, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি‎

একাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও মুক্তি মিলে সহজে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক থেকেই অদৃশ্য শক্তির আশ্রয়ে চালাচ্ছে মাদক কারবার

‎চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রকাশ্যেই চলছে মা–মেয়ের মাদক সাম্রাজ্য। উপজেলার কুমিরা এলাকার কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী মিনুয়ারা আক্তার মিনু ও তার মেয়ে নুর জাহান দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও মদের ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
‎তারা ছোট কুমিরাস্থ রহমতপুর গ্রামের ফজলুল রহমানের স্ত্রী ও মেয়ে।

‎সূত্র জানায়, সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ ও র‍্যাব–৭ একাধিকবার তাদের গ্রেপ্তার করলেও অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তারা প্রতিবারই বেরিয়ে আসে। পুলিশের নথি অনুযায়ী, মিনু ও নুর জাহানের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

‎স্থানীয়রা জানান, ছোট কুমিরা ও আশপাশের এলাকায় এই মা–মেয়ের কারণে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহভাবে। এলাকাবাসী বহুবার থানায় ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
‎বরং মাদকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তাদের সহযোগীরা স্থানীয়দের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

‎এলাকার প্রবীণরা জানান, ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ দিদারুল আলম নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে মিনু ও তার মেয়েকে মাদক ব্যবসা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু মিনু সেই নির্দেশ অমান্য করে পালিয়ে যায়।
‎সেদিন পুলিশ এমপির উপস্থিতিতে মিনুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও মদ উদ্ধার করে।

‎এবিষয়ে মিনুয়ারা মিনু নন্দিত টেলিভিশনকে জানান,মিনুয়ারা মিনু আগে এই ব্যবসা করতেন এখন আর এই ব্যবসার সাথে এখন বর জড়িত নেন।

‎স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নীরবতা ও প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রচ্ছায়ায় মিনু ও নুর জাহান সীতাকুণ্ডে মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।

‎তাদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে কুমিরা অঞ্চলে মাদকের বিস্তার রোধ করা অসম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

দর্শক পরবর্তী পর্বে থাকছে, কোন শক্তির আশ্রয়ে এখনো মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে মা মেয়ে, এবং পলাতক হলেও মোবাইল ফোন সচল তাহলে কেন খোঁজে পাচ্ছে না পুলিশ? এনিয়ে থাকছে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন অগ্রযাত্রায়।