ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সরকারি পাকা রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় মাথা কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে এক আওয়ামী লীগ নেতা। জানা যায় ময়মনসিংহ জামালপুর সড়কের পদুরবাড়ি থেকে বড়গ্রাম ইউনিয়নের বদ্ধভূমি পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি খননের কাজের সময় কাতলসার গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা আমির উদ্দীনের বাড়ির সিমানা দিয়ে মাটি কাটা কাজের সময় বাধা দেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা মানিক মিয়া প্রতিবাদ করায় আমির উদ্দীন প্রকাশ্যে মাথা কেটে নেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতার এত বড় দুঃসাহস কিভাবে দেখালো তাহা সাধারণের বোধগম্য নহে। এলাকার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ময়মনসিংহ জামালপুর মহাসড়কের পদুরবাড়ি হইতে বদ্ধভূমি পর্যন্ত পাকা রাস্তার কাজের মাটি খননের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকৃত সড়কের মধ্যে জনগণের যেসব স্থাপনা/ গাছ পড়েছে তাহা অবসারণ করে নেয় কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা আমির উদ্দীন ও তার শরিকানা মালিকদের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তা মাটি খননের কাজের সময় আমির উদ্দীন ঠিকাদারের কাজে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতা মানিক কাজে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ করলে আমির উদ্দীন প্রকাশ্যে তার মাথা কেটে নেওয়ার হুমকি নেয়। এলাকায় গেলে জানা যায় আমির উদ্দীন বড়গ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হালিম ও সাবেক মন্ত্রী কে.এম খালিদ বিশ্বাস আস্থাভাজন লোক। আওয়ামী লীগের শাসনামলে এলাকায় মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে এবং যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। এখনো এলাকায় রাত হলেই মাদক ক্রয়-বিক্রয় অহরহ হয়ে থাকে একটি সিন্টিকেটের মাধ্যমে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানান আমির উদ্দীন অন্তত্য উগ্রমেজাজী লোক। সাধারণ মানুষের সাথে অযথা অশ্লীল ভাষায় গালাগালসহ বিভিন্নভাবে অপমান জনক ভাষা ব্যবহার করে। এতে এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিরা বিব্রতকর অবস্থায় পরে। এলাকাবাসী এ উশৃঙ্খল আমির উদ্দীনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
