মুক্তাগাছায় সরকারি আদেশ অমান্য করে ওয়ারিশ সনদ নিতে টাকা আদায়

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা উপজেলার কাশেমপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশ সনদ পেতে তিনশত টাকা করে আদায় করছে ইউনিয়ন সচিব। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে বিরোপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়নের ৪/৫ জন ইউপি সদস্যদের সাথে কথা হলে তারা বিষয়টি জানেন তবে সচিবকে বারবার সতর্ক করার পরেও সচিব তিনি মানছেন না। তিনি মনগড়া ভাবে জনগণের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে।
সূত্র মতে উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আব্দুল খালেক গত ০১/০১/২০২৫ ইং তারিখ যোগদান করেন। তারপর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদে কোনো ওয়ারিশ সনদ আনতে গেলে জনগণের কাছ থেকে প্রতি সনদ বাবদ তিনশত টাকা করে নিয়ে থাকেন কিন্তু কোনো রশিদ দেন না। এ ব্যাপারে গত রবিবার (২৬/১০/২০২৫) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে সাধারণ ভোক্তভোগী জন সাধারণ জানান তাদের কাছ থেকে সচিব মোঃ আব্দুল খালেক তিনশত টাকা করে ওয়ারিশ সনদের জন্য নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। সরকারী নির্দেশনা রয়েছে ওয়ারিশ সনদ নিতে কোনো ফি লাগবে না। সেখানে কীভাবে সরকারি আদেশ অমান্য করে সচিব টাকা গ্রহণ করছেন তাহা বোধগম্য নয়। সচিব জানান ০৭/০১/২০২৫ ইং তারিখে একটি রেজুলেশন দেখান সেখানে ওয়ারিশ সনদ নিতে তিনশত টাকা করে নেওয়ার কথা উল্লেখ আছে। এখানে সাধারণ জনগণের প্রশ্ন সরকার যেখানে ফি নিতে নিষেধ করেছে সেখানে ইউনিয়নের পরিষদের প্রশাসক সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এ আদেশ অমান্য করে ওয়ারিশ সনদ নিতে টাকা আদায়ের নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে ইউনিয়নের পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, আব্দুল মালেক, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ঝুমা আক্তারসহ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান পরিষদের সচিব কারো কথা শোনেন না। তিনি মনগড়াভাবে জনসাধারণের কাছ থেকে ওয়ারিশ সনদসহ অন্যান্য সেবা দিতেও অবৈধভাবে টাকা নিচ্ছেন। তা ছাড়া ওয়ারিশ সনদ নিতে রেজুলেশনে তারা কোনো স্বাক্ষর করে নাই বলে জানান। সচিব প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এ কাজ করে যাচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছে। এ ব্যাপারে উপজেলার প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।