চট্টগ্রাম থেকে জাহাঙ্গীর হোসাইন —দেশজুুড়ে রাজপথের আন্দোলন ছেড়ে দিয়ে পুরোদমে মাঠ গোছাতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পরেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
রাষ্ট্র সংস্কারে দলের প্রস্তাবিত ৩১ দফা নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
জনদুর্ভোগ এড়াতে গতানুগতিক মিছিল-মিটিং বাদ দিয়ে সামাজিক কর্মসূচিতে মনোযোগ দিয়েছে দলের রাজনৈতিক কৌসুলিরা।
এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলা হাটহাজারী আংশিক বায়েজিদ নিয়ে গঠিত ৫ সংসদীয় আসনে নির্বাচনী সুবাতাসে পাল তুলেছেন ব্যরিষ্টার শাকিলা ফারজানা।
২৯ অক্টোবর বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ২টা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ১৫ নং বুড়িশ্চর ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষ বয়োবৃদ্ধাদের মা-খালা বদ্দা ডেকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চাইলেন শাকিলা।
এসময় শতাধিক দলীয় নেতাকর্মী অনুসারীদের সাথে নিয়ে দলীয় প্রচারণা চাঙা করতে কয়েক হাজার লিফলেট বিতরণ করেন।
শাকিলা ফারজানার বাবা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম একজন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন।
১৯৮৫ সালে হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি হাটহাজারী আসন থেকে টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে হুইপ নির্বাচিত হন ওয়াহিদুল আলম। একই সময়ে তিনি গাইবান্ধার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
পিতার আদর্শকে আঁকড়ে ধরে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিগত ১৭ বছর রাজপথে দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন শাকিলা। এসময় তিনি দশ মাসেরও অধিক সময় কারানির্যাতনের শিকার হন। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দলের ৯০ শতাংশ নেতাকর্মীদের সহ্য করতে হয়েছে নিপীড়ন ও জেল-জুলুম।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শতাধিক নেতাকর্মী অনুসারীদের নিয়ে মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী এই নেত্রী।
হাটহাজারী উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড, প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোট চাইবেন তিনি।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে বলে প্রত্যাশা বিএনপি নেতাদের।
নির্বাচনী প্রচারনা ও গণসংযোগ প্রোগ্রামে ব্যরিষ্টার শাকিলার সাথে যারা ছিলেন নজুমিয়া হাট বিএনপি’র এম,আর, সেলিম পারভেজ, বশির আহমেদ, আবদুর রহমান (বাবুল), মোহাম্মদ আলী, নূর মোহাম্মদ, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ সোলেমান, মোঃ শফি, আব্দুল ছালাম, মোঃ দিদারুল আলম (বাবুল), মোঃ আবুল হাশেম, মোঃ মনির হোসেন,
যুবদলে মোঃ সোহেল, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মোঃ ইয়াকুব, মোঃ ফাহিম, মোঃ আবু কালাম।
কৃষক দলের নূরুল আমিন, মোঃ ছালেনূর, মোঃ ইউসুফ, ৬নং ওয়ার্ডের ইয়াকুব, নূরুল আলম, আবু বক্কর মানিক, মোঃ জাহাঙ্গীর,
ওলামা দলের এমএম শপি, মোঃ নাছির উদ্দিন। মহিলা দলের শাফিয়া,
স্বেচ্ছাসেবক দলের মোঃ মঈন উদ্দিন, মোঃ আলমগীর,
ছাত্রদল থেকে মোঃ তারেক, মোঃ ইমন, মোঃ আরিফ, মোঃ মুন্না প্রমুখ।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
