নিজস্ব প্রতিনিধি —চট্টগ্রাম মহানগর গণঅধিকার পরিষদের নতুন সভাপতি হিসেবে শাহেদুল ইসলামকে ঘোষণার পর সংগঠনের তৃণমূল এবং জেলা–মহানগর ইউনিটগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আলোচিত একটি হত্যা মামলায় তিনি প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত, এমন তথ্য দলীয় ও স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান মামলাটি সংগঠনের অভ্যন্তরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও নেতৃত্ব নির্বাচনের সময় তা উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নতুন কমিটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের তৃণমূলে অসন্তোষের বিস্ফোরণ ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে লিখছেন, “একজন হত্যা মামলার আসামিকে মহানগরের সভাপতি করা সংগঠনের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।”
আরেকজন মন্তব্য করেন, “গণঅধিকার পরিষদ নৈতিকতার কথা বলে। কিন্তু নিজেদের ঘরেই নৈতিকতা গলাটিপে হত্যা করা হলো।”
সংগঠনের অনেক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সভাপতি নির্বাচনের সিদ্ধান্তটি “হঠাৎ, অস্বচ্ছ ও বিতর্ক সৃষ্টি করবে জেনেও গৃহীত হয়েছে”, যা শেষ পর্যন্ত সংগঠনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমিয়ে দেবে।
নতুন নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে বিশেষ করে মহানগর ও ছাত্র অধিকার পরিষদের তরুণ নেতারা। কয়েকটি ইউনিট বৈঠকে অংশ নিয়ে তারা জানান, “একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শীর্ষপদে বসানো হলে দলের আদর্শ, নৈতিকতা ও রাজনৈতিক অবস্থান, সবই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
সংগঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র জানায়, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি স্থগিত না হলে মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সব নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করবে।” পাশাপাশি ওয়ার্ড ও থানা ইউনিটের বেশ কয়েকজন নেতা ইতিমধ্যে মৌখিকভাবে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিতর্কিত এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, বিষয়টি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে “উদ্বেগ” হিসেবে উঠেছে এবং আলোচনাও চলছে। অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূলের চাপ ও জনমতের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় কমিটি পুনর্বিবেচনা বা স্থগিত হতে পারে।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
