মাত্র ২০ মিনিট সময়ের জন্য মুক্তাগাছায় বাংলাদেশ মুসলিমলীগ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেন নি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ দিন (২৯ ডিসেম্বর) মাত্র ২০ মিনিট দেরি হওয়ায় বাংলাদেশ মুসলিমলীগের এমপি প্রার্থী মোঃ ফরহাদ হোসেন তার মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি। তার আফসোস তিনি তার সকল কাগজপত্র অনলাইন অর্থ জমার গ্রহণ স্লীপসহ যাবতীয় কাগজ প্রস্তুত করতে বিলম্ব হয়ে যায়। তার প্রস্তাবক সমর্থক ও শুভাকাঙ্খিদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নীং অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান কিন্তু সহকারী রিটার্নীং অফিসার সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণ দেখিয়ে তাহা গ্রহণ করেননি। মোঃ ফরহাদ হোসেন জানান একটি পত্রিকায় ও একটি টিভি চ্যানেলে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় দুইদিন বাড়তে বাড়ে তাছাড়া একসাথে তিনদিন অফিস বন্ধ থাকায় তার কাগজ পত্রের আনুসাঙ্গিক কাজ করতে কিছুটা বিলম্ব হয়ে যায়। তিনি জানান যে উদ্দেশে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম আমি সারা বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে বলতে চাই বিগত ৫৪ বছর যাবৎ দেশের যে অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে এবং দেশের ভিতর পঞ্জিভুত কালো টাকা আছে তা উদ্ধার করে পূজিহীন মানুষকে বিনা সুধে বিনা জামানতে সহজ কিস্তিতে পরিশোধ যোগ্য ঋণ দেওয়ার আন্দোলন করে আসছি ,কারণ এ টাকা জনগণের। এ রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণের অধিকার আছে। এ টাকার একমাত্র হকদার দেশের জনগণ। তাছাড়া বস্তিপূর্ণ বাসন যাদের ঘরবাড়ী নেই তাদের জন্য বিগত ৯ আগষ্ট ২০২৫ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে লাগাতার কর্মসূচী পালন করে আসছি। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকার এ দাবী মেনে নেয় নাই। আমি সংসদ সদস্য হতে পারলে মুক্তাগাছায় প্রতিটি ইউনিয়নে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। আমার নির্বাচনী আসনে কোনো বেকার থাকবে না।

তাই জনগণের কল্যাণের জন্য সংসদে গিয়ে আলোচনা মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে এবারের নির্বাচনের যাওয়ার জন্য আমি সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাহা আর হলো না। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী তার মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। বুধবার বিকেলে মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে এসে মোঃ ফরহাদ হোসেন লিখিত ভাবে তার এই দাবীগুলো সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।