প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ — বঙ্গবন্ধুর সৈনিক স্বাধীন বাংলার প্রথম নির্বাচিত এমপির পুত্র তারেক কে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাই এলাকাবাসি

রুপান্তর বাংলা মাকছুদা আক্তার—
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন নিয়ে প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুল খালেক বলেন —
একজন রাজনীতিবিদ ব্যক্তির লক্ষ্য হলো মানব কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা।
দেশে নির্বাচন শুরু হলেই উপজেলা,শহর গ্রামে শুর হয় প্রার্থীদের আনাগোনা, যেসব ব্যক্তি নির্বাচন করেন তাদের মধ্যে অনেকেরি স্থানীয় গ্রাম-গঞ্জের লোকের সঙ্গে নেই কোন সখ্যতা, বাংলাদেশে নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দলের মধ্যে বেশ কয়েকটি দল অন্যতম সেসব দলের প্রধানগণ অনেক সময় স্থানীয় সাধারণ জনগণের চাওয়াকে প্রাধান্য না দিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে একজনকে মনোনয়ন দেন, যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তার প্রতি রাগ, দুঃখ থাকলেও দলীয় মার্কা প্রতীক এর প্রতি কারো কোন রাগ নেই। সাধারণ জনগণ ভোট দিচ্ছে মার্কা বা প্রতীক দেখে।–
স্থানীয় প্রবীণ ও যুবসমাজের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে রুপান্তর বাংলা”র কথা হলে তারা বলেন– আমাদের একটাই চাওয়া আমরা আপনার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ সৈনিক এডভোকেট শামসুল হক সাহেবের সুযোগ্য সন্তান তারেক কে যেন এবার নৌকার প্রতীক দেওয়া হয়। তারেক ভাই নৌকার প্রতীক পেলে আমরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে নেত্রীকে এই আসনটি উপহার দিব ইনশাল্লাহ।
বলছি মুক্তাগাছার সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড শামসুল হকের তনয় মো. তারেকের কথা।
ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনে দীর্ঘ এক যুগ ধরে মাঠে ঘাটে আওয়ামী লীগ কর্মীদের নিয়ে
মহাজোট সরকারের উন্নয়নের কথা উঠান বৈঠক, লিফলেট,পোস্টার ইলেকট্রিক প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন। কখনো মুখে কখনো নিজ অর্থায়নে লিফলেট, পোস্টার বানিয়ে বিতরণ করছেন, এমনকি নেত্রীর বিরুদ্ধে কিছু শুনলেই প্রতিবাদের ঝড় তুলছেন। অনেক সময় সরকারের উন্নয়ন বিরোধীদের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কে এই তারেক —
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ ৫ আসন মুক্তাগাছায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. তারেক। তিনি স্থানীয় সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামছুল হকের ছেলে। জন্ম ও বংশগত ভাবেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত সাবেক ছাত্রনেতা মো. তারেক তৎকালীন ১৯৯৪ সালে বিএনপি জামাতের বিভিন্ন মামলায় হয়রানির স্বীকার হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
১৯৯৫ সালে উপজেলা শহরের শহীদস্মৃতি সরকারি কলেজে বিএনপি জামাতের হামলার শিকার হয়ে দুই মাস হাসপাতালে শয্যাশায়ী হয়ে থাকতে হয় তাকে।
এছাড়াও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালে তৎকালীন সরকারি মদদে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ করায় গণগ্রেফতারের স্বীকার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করা এই আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, দায়িত্ব পালন করেছেন মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এর, ছাত্রজীবন কেটেছে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে। দুঃসময় ও দুর্দিনে আওয়ামী লীগের পাশে থাকা পরিবারে জন্মগ্রহণ করা মো. তারেক আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তাগাছার সর্বসাধারণের সমর্থনের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ-৫ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।

মুক্তাগাছায় জন্ম নেয়া তারেক বাবার হাত ধরেই রাজনীতির হাতে খড়ি। সৎ ভাবে বিচার সালিশ, গ্রামের শিশু কিশোরদের স্কুল-মাদরাসায় যেতে আগ্রহ তৈরি করা, মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখার আফরান চেষ্টা ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি সহ
উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, বাজার ও গ্রামেগঞ্জে ঘুরে সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের তথ্য সাধারণ জনগণের নিকট তুলে ধরাই যেন তার মূল কাজ। মুক্তাগাছাবাসীর একটাই দাবী যে ছেলে সরকারের সুখে দুখে এমন ভাবে পাশে আছেন তাকে আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিলে জনগণের কল্যাণে নিজে কে বিলিয়ে দিবেন বলে মনে করেন।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি মোস্তাকের ডাকে সাড়া না দিয়ে যারা রাস্তায় নেমে আসেন তার মধ্যে মরহুম অ্যাডভোকেট শামসুল হক ছিলেন অন্যতম। তারই যোগ্য উত্তরসূরি শাকিল মো. তারেক। তারেক ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন ত্যাগী পরিক্ষিত একজন নেতা। দলের প্রধান শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এলাকায় আন্দোলন জোরালো করায় একের পর এক মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায় জামায়াত-বিএনপি জোট সরকার।

নাম প্রকাশ না করে আ. লীগের একাধিক নেতা বলেন, আ. লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে আমাদের নিজ দলের লোকেদের প্রতিহিংসার স্বীকার হতে হয়েছে শাকিল মো. তারেককে।

মুক্তাগাছা আসন থেকে প্রথম নির্বাচিত সংসদ অ্যাডভোকেট শামসুল হকের যোগ্য উত্তরসূরি শাকিল মো. তারেককে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করে সুবিধাবাদীরা। কিন্তু যার শরীরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক অ্যাডভোকেট শামসুল হকের রক্ত, তাকে দমানোর সাধ্য আছে কার? মুক্তাগাছার ইতিহাসে প্রথম সংসদ ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তাগাছা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীকালে একটানা ২৩ বছর মুক্তাগাছা উপজেলা আ’লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক। বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ করে দলের প্রতি আনুগত্য থেকে মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে রাজনীতি শুরু করা তারেককে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে বেগ পেতে হয়নি।

মো. তারেক তার সততা ও নিষ্ঠা, ন্যায় পরায়ণতায় অল্প দিনেই মুক্তাগাছাবাসীর প্রিয় নেতা হয়ে উঠেন। তারেকের জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে নিজ দলের নেতাদের প্রতিহিংসার স্বীকার হতে হয় তাকে। বার বার রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়। উপজেলা আ’লীগের কমিটি থেকে বাদ পড়লেও জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে মানুষের কল্যাণে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে কাজ করে আসছেন তিনি। সাধারণ মানুষের চাওয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন শাকিল মো. তারেক। সাধারণ মানুষের চাওয়া পূরণ ও সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন তিনি।

আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিল মো. তারেক বলেন,
নিজের মধ্যে চিন্তাশক্তির গভীরতা দূরদৃষ্টি,
সততা ও জ্ঞানের আলো তৈরি করতে হলে
শিক্ষা এবং ব্যবহারিক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি
মানসিক উৎকর্ষ সাধন করা প্রয়োজন,
সাধারণ মানুষ এবং নেতা কর্মী সমর্থকদের চাওয়ার প্রতিফলন হিসেবে এবং অবহেলিত মুক্তাগাছাবাসীকে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইবো। মুক্তাগাছার আপামর জনসাধারণের মতো আমি আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন প্রদান করবেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনটি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।