মুক্তাগাছায় লাইসেন্স বিহীন বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের রমারম ব্যবসা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: সরকারি নির্দেশনা ও প্রজ্ঞাপন অমান্য করে চলছে মুক্তাগাছায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গুলোতে চলছে রমারম ব্যবসা। প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ আবু হোসেন মোঃ মঈনুল আহ্সান কর্তৃক গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক অফিস আদেশে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেয়া হলেও মুক্তাগাছাতে তার গতি মন্থর পরিলক্ষিত হচ্ছে। মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন গত ২৭ ফেব্রæয়ারী ৪টি ক্লিনিক/ডায়াগনোস্টিক সেন্টার সিলগালা করলেও বাকি গুলোতে ব্যবসা চলছে দেদারছে।

আটানী বাজারে মুক্তাগাছা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, বটতলায় আমিনুল ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, মহিষতারা আল-মদিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, চেচুয়া বাজার অনু-সু স্বাস্থ্যাসেবা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এগুলো আদৌ কোন লাইসেন্স নেই। তবুও চলছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে এ ৪টি বন্ধ করার পর বাকি গুলোদের পরিচালকদের ডেকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক হাসপাতাল গুলোতে ৩ জন এমবিবিএস ডাক্তার ও ৬ জন নার্স অত্যাবশ্যক ও সর্বক্ষণিক রাখার নির্দেশনা দেন। কিন্তু বাস্তবে শর্ত মোতাবেক ও পর্যাপ্ত জনবল কোন জায়গাতেই পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কোন কোন হাসপাতালের লাইসেন্স নেই অথচ সাইনবোর্ড টানিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। অধিকাংশ হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সনদ নেই।

নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র যাহা বাধ্যতামূলক। সূত্রমতে, অনেকগুলো হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিক ও পরিচালকদের অনেকেই স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত লোকজন যার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমশি বা ধীরে চলো নীতি অবলম্বর করছেন বলে অনেকেই মনে করছেন।

সূত্রমতে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ব্যতিত কোন হাসপাতাল/ ডায়াগনোস্টিক সেন্টার অনুমোদন পেতে পারে না। এমনকি রিনিউ করার বিধানও নাই। হাসপাতাল চালাতে হলে নার্কোটিক লাইসেন্স লাগবে। এইগুলোর কোন বালাই নেই এসব বেসরকারি হাসপাতাল/ ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলোতে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। ইতিমধ্যে ৪টি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিকদের ডেকে শর্ত মোতাবেক না চালালে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তারা শর্ত না মেনে ডায়াগনোস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে পুনরায় অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয়া হবে। ছাড়পত্রের বিষয়ে তিনি জানান, আমরা বিভিন্ন ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গুলো পরিদর্শন করে প্রতিবেদন পাঠাই। ছাড়পত্র দেওয়ার এখতিয়ার সিভিল সার্জনের। এখানে আমাদের কোন হাত নেই।