খাগড়াছড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে সহিংসতায় নিহত ১, আহত ৭১ জন।

মো: জাহাঙ্গীর আলম, রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি
রাঙামাটিতে (২০/০৯/২০২৪ শুক্রবার) খাগড়াছড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিমনিশিয়াম এলাকা থেকে বনরূপা পেট্টোল পাম্প মিছিল প্রদক্ষিণকালে বিনা উস্কানীতে বনরূপার দোকান পাটে হামলা ও মসজিদে ভাংচুর করে পাহাড়ী চক্রটি। এলাকার বাঙ্গালীরা এই ভাংচুর প্রতিহত করার জন্য এগিয়ে আসলে শুরু হয় মুখুমুখি সংঘর্ষ । দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মারা গেছেন এক পাহাড়ি যুবক। তবে তাঁর নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ ও রাঙামাটি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আহত হয়েছেন অন্তত ৭১ জন।
সকাল থেকে থেমে থেমে হওয়া সংঘর্ষে পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মোটর সাইকেলসহ ১০টির অধিক যানবাহনে আগুন ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে (২০/০৯/২০২৪ শুক্রবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি বহাল থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ি ও দিঘিনালায় বাড়িঘরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে রাঙামাটিতে সংঘাত ও পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন মিছিল বের করে। মিছিলটি বনরুপা বাজারে পৌঁছালে এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিভিন্ন এলাকায় আহতের খবর পাওয়া যায়। হাসপাতালে একজনের মরদেহ আনা হয়। চিকিৎসা নিয়েছে ৭১ জন। এর মধ্যে ১৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জানিয়েছে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর খান।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে।’