রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি রুপান্তর বাংলা–
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের মনোনীত সদস্যদের নিয়োগ বাতিল এবং রাজস্থলী, কাউখালী, বরকল, ও জুরাছড়ি উপজেলার প্রতিনিধি যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন ওই চার উপজেলার বাসিন্দারা।
গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাঙ্গামাটি শহরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করে নতুনভাবে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকার পদক্ষেপ না নিলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে রাঙ্গামাটির ১০টি উপজেলার মধ্যে শুধু ৬টি উপজেলা থেকে ১৫ জন প্রতিনিধিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাজস্থলী,কাউখালী, বরকল,ও জুরাছড়ি উপজেলার কোনো প্রতিনিধি না রেখে এলাকাবাসীর সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। জেলা পরিষদে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগ সদস্য জনবিচ্ছিন্ন এবং গত সরকারের সুবিধাভোগী বলেও দাবি করা হয়। এমনকি একই পরিবারের একাধিক সদস্য এবং হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি নানিয়ার চর উপজেলা বুড়িঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রণতি রঞ্জন খীসাও আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজস্থলী উপজেলাবাসীর পক্ষে অ্যাডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা, সত্যবিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, উথান মারমা, কাউখালী উপজেলাবাসীর পক্ষে মো. জসিম উদ্দিন, ললিত চন্দ্র চাকমা, মো. তারা মিয়া, বরকল উপজেলাবাসীর পক্ষে এমদাদ হোসেন ও পুলিন বিহারী চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রণজিৎ তঞ্চঙ্গ্যা এবং রূপান্তর বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি সহ অনেকেই।
বক্তারা বলেছেন, এ ধরনের বিতর্কিত ও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দিয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পুনর্গঠিত পরিষদকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুনর্গঠনের জোর দাবি জানান। এই সংবাদ সম্মেলনে নবগঠিত জেলা পরিষদ সদস্য নিয়োগের জন্য পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাকে দায়ী করা করা হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী জনতা পরিষদের
পার্বত্য কমিটির পক্ষ থেকে জনাব জাহাঙ্গীর আলমও মোশারফ হোসেন সেলিম বলেন ‘পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা থেকে ৯ জন সদস্যকে রেওয়াজ/নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ দিয়ে স্বজনপ্রীতি ও ফ্যাসিস্ট মানসিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিগত সরকারের রেখে যাওয়া জেলা পরিষদের কার্যক্রম গুলো তদারকি করার জন্য ১৭ বছর অবহেলিত জনগণের মুখে চুনকালি দিলেন।
সাধারণ জনগণের মতামত বৈষম্য হীন সরকার বৈষম্য দিয়েই যাত্রা শুরু করলো। রাজস্থলী উপজেলা বাসীর পক্ষ থেকে জনাব মোঃ রিয়াজউদ্দীন রানা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা মহোদয়গণ হয়তো এ বিষয়ে খেয়াল করেনি বর্তমান কমিটি থেকে বিতর্কিত চারজন বাদ দিয়ে রাজস্থলী, কাউখালী, বরকল, ও জুরাছড়ি প্রতিনিধি নিয়ে পুনরায় জেলা পরিষদ কমিটি করিলে বৈষম্যের অবসান ঘটিবে।
জনাব রিয়াজউদ্দিন রানা আরো বলেন জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের জন্ম লগ্ন হতে অদ্যবতী রাজস্থলী উপজেলার সেটেলমেন্ট জুনের বাঙ্গালিকে স্থান দেওয়া হয়নি বিগত ৪০-৫০ বছর ধরে রাজস্থলী উপজেলায় বসবাসরত বাঙ্গালির সাথে অন্যায় ও অবিচার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা বৈষম্যের শিকার, আশা করি বর্তমান সরকার ৪০-৫০ বছরের দুঃখ দূর করে নতুন ইতিহাস রচনা করবেন।