রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
জাহাঙ্গীর, জেলা প্রতিনিধি,—এবছর রাঙ্গামাটির বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা ও টেক্সটাইল ভোকেশনাল এর ৪০২জন শিক্ষার্থী এই মেধা বৃত্তি ও মেধা বিকাশ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। যার মধ্যে উত্তীর্ণ ৩৭ জনকে বৃত্তি প্রদান করে এবং আরো ২২জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করেন। মাইজভান্ডারী ফাউন্ডেশন ও সহযোগীতায় দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (DIRI)।
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ই সোমবার সকাল ১০:৩০ মিনিট রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী মেধা বৃত্তি ও মেধা বিকাশ পরীক্ষা’২০২৪ এর বৃত্তি প্রদান ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক প্রশিক্ষক শামসুদ্দীন শিশির। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাবিব আজম, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইয়াছিন রানা সোহেল, রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাওন ফরিদ, আনজুমানে মোত্তাবেয়ানে গাউসে মাইজভাণ্ডারী (শাহ এমদাদিয়া) সমাজকল্যাণ সম্পাদক মহিউদ্দিন এনায়েত, জেলা সভাপতি পারভেজ উদ্দিন, মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক রবিউল সুমন, কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মোঃ ইব্রাহিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রণতোষ মল্লিক।
উক্ত মেধা বৃত্তি ও মেধা বিকাশ পরীক্ষা’২০২৪ এর বৃত্তি প্রদান ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করেন মাইজভান্ডারী ফাউন্ডেশন ও সহযোগীতায় দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (DIRI)।
নৈতিক মানবতা যেই নীতিকে ধারণ করে বাঁচে বা রক্ষা পায় তার অপর নাম সুফি সভ্যতা বা নৈতিক মানব ধর্ম। নৈতিক মানবতার অন্যতম তীর্থ স্থান মাইজভান্ডার দরবার শরীফ। এই সুফি দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (১৮২৬-১৯০৬)। দরবারের বর্তমান সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী মানবতার কল্যাণে বহুমাত্রিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। তাঁর কর্মকান্ডের অংশ হিসাবে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী মেধা বৃত্তি ও মেধা বিকাশ পরীক্ষা ১১ তম বারের মতো গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে চট্টগ্রাম ১০ টি কেন্দ্রের ও অনলাইনে পুরো বাংলাদেশে এবং ১৮ অক্টোবর রাঙ্গামাটি সহ ১১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাটি মাইজভান্ডারী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (DIRI) এর সহযোগীতায় সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এসময় বক্তারা বলেন, মেধাবিকাশ ও কারিগরি পরীক্ষায় মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে মাইজভাণ্ডারী তরিকা। দরবারের পরিচালিত মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের মেলবন্ধন তৈরি করছে।
বক্তারা আরো বলেন, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে গেলে অবশ্যই পড়ালেখার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে মূল্যবোধ সৃষ্টির আহবান জানান।
উল্লেখ্য, উপমহাদেশে সুফি মতাদর্শের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম মাইজভান্ডারির নামে মেধা বৃত্তি ও মেধা বিকাশ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামে ১০টি কেন্দ্রের ও অনলাইনে পুরো বাংলাদেশের এবং রাঙামাটিসহ ১১টি কেন্দ্রে স্মৃতি মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী বছর আরো বড় পরিসরে এই বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার আশা করেন রাঙ্গামাটি জেলা রাঙ্গামাটি জেলা কার্যকরী সংসদ, (শাহ্ এমদাদীয়া)এর সভাপতি মোঃ পারভেজ উদ্দীন।
