রূপান্তর বাংলা নিজস্ব সংবাদদাতা –
রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই জুন অধীনস্থ রাজস্থলী আর্মি ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার সকাল ১০:৩০টা থেকে দুপুর ১২:৩০টা পর্যন্ত মনোরম পরিবেশে “হেডম্যান ও কারবারি সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাজস্থলী ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো: জিয়াউর রহমান।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্প উপধিনায়ক ক্যাপ্টেন এসকে এম সাদমান, ক্যাম্প জেসিও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শেখ জামাল উদ্দিনসহ অন্যান্য সেনা সদস্যরা, গাইন্দ্যা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পুচিং মং মারমা, ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরা, ৮ জন হেডম্যান, ৪ জন মহিলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ মোট ১৬ জন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এবং ৯৮টি পাড়া থেকে আগত ৭৬ জন কারবারি। সর্বমোট ১০২ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনের শুরুতে ক্যাম্প কমান্ডার সকলকে দূর-দুরান্ত থেকে আগমনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাজস্থলীকে শান্তি ও উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল—
ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি ও জাতি-ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের জন্য কাজ করা
এলাকার শান্তি রক্ষা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা -যুব সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা
শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ সন্ত্রাস, অবৈধ কার্যকলাপ ও মাদক প্রতিরোধ নিরাপদ পানি, রাস্তা-ঘাট, স্কুল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংস্কার।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ আয়োজন- ক্যাম্প কমান্ডার বলেন, “রাজস্থলী একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা। এখানে সকলের ঐক্য ও সহযোগিতাই শান্তি ও উন্নয়নের মূল ভিত্তি।” তিনি ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরে আরও উন্নত সেবা প্রদানের আশ্বাস দেন।
কারবারিরা তাঁদের এলাকার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন, যার দ্রুত সমাধানের জন্য ক্যাম্প কমান্ডার স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৮ বীর কর্তৃক কাপ্তাই জোন, রাজস্থলী সাব-জোনের এবং বাঙ্গালহালিয়া সাবজনের দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই ছিল তাঁদের আয়োজিত প্রথম সম্মেলন। ভবিষ্যতে এ ধরনের সম্মেলন নিয়মিত আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।
সেনাবাহিনী শান্তি রক্ষা, উন্নয়ন সহায়তা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে—এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে এলাকার সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনীকে পাশে পাবে—এই অঙ্গীকারের মাধ্যমে ক্যাম্প কমান্ডার সম্মেলন সমাপ্ত ঘোষণা করেন।