ঝিনাইদহ সংবাদদাতা –ঝিনাইদহ আদালত চত্বর এলাকার চিহ্নিত প্রতারক ও ধর্ষন মামলার আসামী বিল্লাল ওরফে বোমা বিল্লালকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার রাতে সদর উপজেলার হলিধানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বোমা বিল্লাল সদর উপজেলার বেড়াশুলা গ্রামের ইয়াসিন বিশ্বাসের ছেলে। বর্তমানে সে ঝিনাইদহ শহরের গোপিনাথপুর টিভি সেন্টার কলোনীপাড়ায় বসবাস করে।
ঝিনাইদহ সদর থানা সুত্রে জানা গেছে, বিল্লালের কিরুদ্ধে সোনাভানু নামে এক নারী ধর্ষনের মামলা করেন। এই মামলায় বিল্লাল পলাতক ছিল। শনিবার গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ঝিনাইদহ র্যাব-৬ তাকে হলিধানী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বিল্লাল ওরফে ডাকাত বিল্লাল একজন চিহ্নিত প্রতারক। এক সময় সে নিষিদ্ধ চরমপন্থি সংগঠন পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির বোমা স্কোয়াডের সদস্য ছিল। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে বিল্লাল জাল সনদ দিয়ে সে ঝিনাইদহ আইনজীবী সহকারী সমিতিতে মহুরী হিসেবে কাজ করে।প্রাপ্ত তথ্যমতে ঝিনাইদহ আদালত চত্বর এলাকায় তার একটি শক্তিশালী চক্র আছে। এই চক্রে কিছু নারী সদস্য আছে। তারা যুবক ছেলেদের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়। রাজি না হলে ঝিনাইদহসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালত বা থানায় মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলা করে। মামলা করার পর যুবকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।ধর্ষন মামলার বাদী সোনাভানু জানান, বোমা বিল্লাল তার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজিবের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। সোনাভানু রাজি না হওয়ায় তাকে অকথ্য নির্যাতন চালায় বোমা বিল্লাল। বাধ্য হয়ে তিনি সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন সোনাভানু।এদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলার শাখারীদহ গ্রামের আল আমিন নামে এক যুবক জানান, আদালতপাড়ায় মক্ষিরানীদের একটি চক্র আছে। কতিপয় আইনজীবীর সহায়তায় মক্ষিরানীদের সরদার আসমা নামে এক নারী ভয়ংকর ফাঁদ তৈরী করে। এই ফাঁদে পড়ে প্রায় ২০/২৫টি পরিবার মিথ্যা মামলার আসামী।প্রাপ্ত তথ্যমতে এসব মামলার কোনটার বাদী আসমা ও কোনটার বাদী বোমা বিল্লাল। এ ভাবে তারা দু’জনা বাদী ও সাক্ষি সেজে খুলনা সোনাডাঙ্গায় সিআর ২৭৬/২৫, খুলনা আইসিটি আদালতে ৫০/২৫, ঝিনাইদহ নারী শিশু আদালতে পি-২৮/২৫, আড়ংঘাটা খুলনায় সিআর-১৫/২৫, ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০/২৫, একই আদালতে ৪৭৪/২৪, ৬৮০/২৪, ১৮/১৪, ৬৮০/২৫, ৫৬৬/২৫, ৫৬৭/২৫ ও ৩৪/২৫ সহ একাধিক মামলা করে অভিজাত পরিবারের সদস্য এমনকি নারীদের নামে মামলা করে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন ধর্ষন মামলায় বিল্লাল নামে একজন গ্রেফতার হয়েছে। সে শহর ও আদালতপাড়ায় চিহ্নি একজন প্রতারক। বিল্লাল বহু মানুষের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করে বলেও ওসি জানান।
