আজগর আলি মানিক—চট্টগ্রাম জেলার ছিন্নমুল এলাকার জনজীবনে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে কথিত ‘প্রধানমন্ত্রী দাবিদার’ আলী নগরের, ইয়াছিন। অভিযোগ উঠেছে, তার নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র ঘুন্ডা বাহিনী বিগত কয়েক বছরে ৫০ জনেরও বেশি ছাত্র-যুবক ও নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। সম্প্রতি সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের পর নিহত পরিবারের সদস্যরা এখন সরব — তাদের একটাই দাবি: “খুনি ইয়াছিনের ফাঁসি চাই।”
হত্যাকাণ্ডে কেঁপে উঠেছে ছিন্নমুল
স্থানীয়দের ভাষ্য, ইয়াছিনের সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায় একের পর এক গুম, হত্যা ও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি দখল করে এখন সে নাকি ৫০ হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তবুও কেউ তাকে আটকাতে পারছে না — স্থানীয়দের ধারণা, তার রয়েছে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়।
একজন নিহত ছাত্রের বাবা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,
আমার ছেলেকে দিনের আলোতে ধরে নিয়ে গিয়েছিল, এখন লাশও পেলাম না। আমরা বিচার চাই, ইয়াছিনের ফাঁসি চাই।”
মানববন্ধনের প্রস্তুতি ও প্রধান উপদেষ্টার নিকট আবেদন–
নিহত পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন এই ঘৃণ্য খুনি ইয়াছিনকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়।
তারা আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,
যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়, আমরা আমরা ভুক্তভোগী আহত নিহত পরিবারের সবাই মিলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করব।”
প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে ক্ষোভ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইয়াছিনের দাপটে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থাকার কারণেই প্রশাসনও নীরব।
নিহত পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, সরকারি তদন্ত দল পাঠিয়ে প্রকৃত সত্য উদঘাটন না হলে তারা রাজপথে নামবেন।
তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপের দাবি
এলাকাবাসী এবং নিহতদের পরিবার সবাই এক কণ্ঠে বলছেন — ইয়াছিন ও তার বাহিনীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তাদের মতে, “যত বড় প্রভাবশালীই হোক, খুনের বিচার হতে হবে।”
সিটিজি ক্রাইম নিউজ মনে করে—যেকোনো অভিযোগের ন্যায্য ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরি। নিরপরাধ মানুষ হত্যার অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
